কলম্বো: প্রথমার্ধে ব্যাট হাতে যশ ধুলের (Yash Dhull) দাপট। দ্বিতীয়ার্ধে বল হাতে নিশান্ত সিন্ধুর (Nishant Sindhu) কামাল। এমার্জিং এশিয়া কাপের (ACC Emerging Asia Cup) সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত এ। ট্রফি জয়ের যুদ্ধে এবার ভারতের সামনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান।
২০২২ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন যশ ধুল ও নিশান্ত সিন্ধু। এবার এমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে দুই উঠতি তারকাই ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে জয় এনে দেন। এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ফের মাঠে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যারা অপর সেমিফাইনালে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে আয়োজক দেশ শ্রীলঙ্কাকে। যদিও গ্রুপ লিগের ম্যাচে ভারতের কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছে মহম্মদ হ্যারিসদের।
টুর্নামেন্টের একমাত্র যশ ধুলরাই এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছেন। তিন ম্যাচেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি 'এ', নেপাল এবং পাকিস্তান 'এ' দলের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই প্রথমবার টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। তবে জয়ের ধারা অব্যাহতই রাখল ভারত।
শুক্রবার টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সঈফ হাসান। দুই ভারতীয় ওপেনার সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা ভারতের হয়ে শুরুটা খানিকটা মন্থর গতিতে করেন। বড় রানের পার্টনারশিপও গড়তে ব্যর্থ হন তাঁরা। দলগত ২৯ রানেই ভাঙে ভারতীয় দলের ওপেনিং পার্টনারশিপ। ২১ রানে সাজঘরে ফেরেন সাই সুদর্শন। তিনি আউট হওয়ার পর নিকিন জোসে এবং অভিষেক শর্মা ভারতীয় ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।
ক্যাপ্টেন যশ ধুলের লড়াকু হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ভারত লড়াই করার মতো রান বোর্ডে তুলে নেয়। ৪৯.১ ওভারে ২১১ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। যশ ধুল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৬ রান করেন। ৮৫ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার মারেন।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ-এ দল ৩৪.২ ওভারে মাত্র ১৬০ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারতের হয়ে ৮ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন নিশান্ত সিন্ধু। ম্যাচের সেরা হয়েছেন যশ ধুল। ভারত-পাক ফাইনাল রবিবার।
আরও পড়ুন: বাবরদের প্রধান নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে কেকেআরে খেলে যাওয়া অলরাউন্ডার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন