বুয়েনস আইরেস: কাতার বিশ্বকাপে (Qatar 2022) দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য সেরা কিপারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল গোল্ডেন গ্লাভস। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে সকলে উচ্ছ্বসিত। তবে গোল্ডেন গ্লাভস হাতে পেয়েই তাঁর সেলিব্রেশন অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ অভিযোগ তুলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। ফের বিতর্কে জড়ালেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এবার বিজয়োল্লাসে তিনি হাজির হলেন কিলিয়ান এমবাপের পুতুল হাতে নিয়ে। যা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা চলছে।


বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে সোনার গ্লাভস হাতে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে কটাক্ষ করে বিতর্কে দিবু মার্টিনেজ।


কাতার থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার পর বুয়েনস আইরেসে মেসিদের ঘিরে উন্মাদনার ঢল নামে। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দর থেকে আর্জেন্তিনার রাজধানীর বিখ্যাত মিনার ‘ওবেলিস্ক’-এর উদ্দেশে হুডখোলা বাসে বিজয়যাত্রা করেন লিওনেল মেসিরা। কাতারে কাতারে মানুষ বিশ্বজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। সেই শোভাযাত্রাতেই নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন মার্তিনেজ।


একটি পুতুল ধরেছিলেন আর্জেন্তিনার গোলকিপার। সেই পুতুলের মাথায় ছিল এমবাপের মুখ। দিবু নামে সতীর্থদের কাছে পরিচিত গোলকিপার সমর্থকদের উদ্দেশে ডান হাত নাড়ছিলেন। আর বাঁ-হাতে বুকের কাছে ধরে রেখেছিলেন এমবাপের মুখ বসানো শিশু পুতুলটি। যাতে সকলে সেটি দেখতে পান।


মনে করা হচ্ছে, লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ে পরিহাস করা এমবাপের ওপর ক্ষোভ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন এমিলিয়ানো। যা থেকে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।


দিবালার সাফল্যের মন্ত্র


এক সময় তাঁকে মনে করা হতো, দিয়েগো মারাদোনা, লিওনেল মেসিদের সমকক্ষ। কিন্তু মহাতারকাদের উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি পাওলো দিবালা। আর্জেন্তিনার বিশ্বজয়ে অবশ্য বড়সড় অবদান রেখেছেন তিনি। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করেছেন। পরাস্ত করেছেন উগো লরিসকে।


কীভাবে টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেধ করেছিলেন, দেশে ফিরে তা জানালেন দিবালা। যিনি টাইব্রেকারে আর্জেন্তিনার হয়ে দ্বিতীয় শটটি মেরেছিলেন। তাঁর গোলেই পেনাল্টি শ্যুট আউটে ২-১ এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্তিনা। দিবালা বলেছেন, 'আমি আড়াআড়ি শট মারতে যাচ্ছিলাম। যেদিকে লরিস ঝাঁপিয়েছিল। তবে সেই সময়ই মনে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচে দিবু (এমিলিয়ানো মার্তিনেজের ডাকনাম) বলেছিল, গোলকিপাররা ভুল করার পরই ঝাঁপায়। তাই সেই সময় গোলের মাঝ বরাবর জোরাল শট মারতে হয়। সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।'                                                              


টাইব্রেকারে সেই মন্ত্র মেনেই সফল হন দিবালা। লরিসকে হার মানান। বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, 'মানুষ এখন জানে যে, আমিই পাওলো। আমি খুব খুশি। এত মানুষ আমাকে দেখতে এসেছেন ভিড় করে।'             


আরও পড়ুন: কলকাতার মাঠ হোক বা খাবার, অভিযোগ করেননি মেসি, আর্জেন্তিনার বাংলা সফরের স্মৃতি