লন্ডন: ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে খেলা গড়িয়েছিল ২০১৯ সালে। আজ থেকে ঠিক ২ বছর আগে আজকের দিনেই এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এমনকী সুপার ওভারেও খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। এরপর বাউন্ডারির নিরিখে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। ওটাই ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়।


অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। নিজেদের দেশের মাটিতে টুর্নামেন্টে হওয়ায় হট ফেভারিট তকমা নিয়েই ফাইনালে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নির্ধারিত ওভারে ২ দলই সমান রান করে। ম্যাচ টাই হওয়ার পর খেলা সুপার ওভারে গড়ায়।


এরপর ২ দলই নির্ধারিত সুপার ওভারে ১৫ রান করে। কিন্তু ম্যাচে নির্ধারিত ওভারে সর্বাধিক বাউন্ডারি হাঁকানোর জন্য চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। সেই ম্যাচে মোট ২৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে কিউয়িরা সেই ম্যাচে ১৭টি বাউন্ডারি হাঁকায়। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল নিউজিল্য়ান্ডকে। ফের একবার চার বছর বাদে ফাইনালে উঠেও অধরা মাধুরী অধরাই থেকে যায় কিউয়িদের। ২০১৫ সালে প্রাক্তন কিউয়ি তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের নেতৃত্বে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।


গত বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৪১ রান তুলে নেয় কেন উইলিয়ামসনের দল। দলের হয়ে সর্বাধিক ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন হেনরি নিকোলস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল তাঁদের। বেন স্টোকস সেই সময় ক্রিজে ছিলেন। তিনি দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান।


এরপর সুপার ওভারেও আশ্চর্যজনকভাবে ২ দলেই সমসংখ্যক রান তোলে বোর্ডে। কিন্তু আইসিসির নতুন নিয়মে বাউন্ডারি বেশি মারার জন্য জয়ী ঘোষণা করা হয় মর্গ্যান বাহিনীকে। যদিও এই নিয়মের জন্য বেশ সমালোচনার মধ্যেও পড়তে হয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে।