নটিংহ্যাম: ট্রেন্টব্রিজে টেস্টে জয় পেয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে লড়াইয়ে ফিরে এসেছে ভারত। সিরিজের এখন ২-১। প্রথম দুটি টেস্টে হারের পর ট্রেন্টব্রিজে ২০৩ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ে দলের মনোবল তুঙ্গে উঠেছে। দলের সমর্থকরা তো বটেই প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড়রাও টিম কোহলির সিরিজ জয়ের আশায় বুক বাঁধছেন।
সিনিয়র স্পিনার হরভজন সিংহ বলেছেন, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ খুবই দুর্বল। ভারতের পেস ও স্পিন-উভয় আক্রমণের সামনেই তাদের দুর্বলতা প্রকট হয়ে গিয়েছে।
ভাজ্জি বলেছেন, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ এখন ভারতের থেকেও অনের বেশি সমস্যায় জর্জরিত। ওদের দেখে মনে হচ্ছে যেন ওরা ভারত সফরে এসেছে।
হরভজন বলেছেন, পেস ও স্পিন-উভয় আক্রমণের সামনেই ওদের বেহাল দশা প্রকট হয়েছে। ওদের খুবই দুর্বল দেখিয়েছে। ওদের প্রথমসারির কয়েকজনের ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ডও খুবই সাদামাটা।ব্যাটিং গড় খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৩৫। অন্যদিকে, ভারতে নাম বিবেচনায় আসতেও কম করে ৫০-র বেশি গড় প্রয়োজন। একদিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা থাকলেও টেস্টে ওদের ব্যাটিং খুব একটা ভালো নয়।
প্রথম দুটি টেস্টে হারার পর ভারতীয় দল অপ্রয়োজনীয় সমালোচনার মুখে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ভাজ্জি। এখন সিরিজের ফলাফল যে কোনও দিকেই যেতে পারে বলেও তাঁর মত। আর এক্ষেত্রে ভারতই এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হরভজন বলেছেন, ইংল্যান্ডে এসে খেলাটা খুব সহজ নয়। এর আগে যে ভারতীয় দলগুলি এখানে এসেছিল, তারা খুব ভালো খেলেছিল এমনটা নয়। ২০০৭ টা ব্যতিক্রম। ওই সিরিজটা ভারত জিতেছিল। খুব সহজেই অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রবণতা ও এত তাড়াতাড়ি সমালোচনা করাটা একেবারেই ঠিক নয়।
ভাজ্জি বলেছেন, ইংল্যান্ডের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। অনুশীলন যতই করা হোক না কেন, ম্যাচ কন্ডিশন সবসময়ই আলাদা হয়। বার্মিহাম টেস্টে খুবই তীব্র লড়াই হয়েছে। ওখানে যদি ভারত জিতত, তাহলে এত সমালোচনা হত না। সিরিজ এখন ভারতের পক্ষে ২-১ হত।
ওভাল টেস্টে ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন হরভজন। সেখানকার পরিবেশ ভারতের অনুকূলেই থাকবে বলে মনে করছেন তিনি। ওই টেস্টে ভারত দুজন স্পিনার নিয়ে খেলার কথা চিন্তা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। পরের টেস্ট সাউদাম্পটনে ভারত যদি জিতে যায়, তাহলে ওভাল টেস্টে ভারতের সমানে সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকবে। তেমন হলে ভারতই সিরিজ ৩-২ জিততে পারে বলে মনে করছেন হরভজন।