কোপেনহাগেন: ইউরো কাপে ফের করোনার হানা। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বজ্র আঁটুনির মধ্যেও হানা দিল মারণ ভাইরাস।


স্পেনের বিরুদ্ধে ইউরো কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ খেলতে নামার আগেই দুঃসংবাদ ক্রোয়েশিয়া শিবিরে। করোনায় আক্রান্ত হলেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ইভান পেরিসিচ। শনিবার ইন্টার মিলানের উইঙ্গারের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আগামী ১০ দিন টিম হোটেলে নিজের ঘরেই নিভৃতবাসে থাকতে হবে ইভান পেরিসিচকে। স্পেনের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি দলে থাকতে পারবেন না। দলের অন্যতম সেরা তারকাকে ছাড়াই প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে নামতে হবে বিশ্বকাপের রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে।


ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল পেরিসিচের। ইউরো কাপেও ছন্দেই ছিলেন তিনি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি গোলও করেছিলেন পেরিসিচ। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ফুটবলারদের প্রত্যেক দিনই করোনা পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় করোনা পরীক্ষার যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে পেরিসিচের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকরা সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কোনও ভাবেই যাতে দলের বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পেরিসিচকে আপাতত ১০ দিনের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। দলের বাকি ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’


প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ৩২ বছরের এই মিডফিল্ডারকে না পেলে ক্রোয়েশিয়া দলের বড় ক্ষতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় কথা, স্পেনের বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়া জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালেও তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চারটি হবে ২ ও ৩ জুলাই। তার মধ্যে পেরিসিচের নিভৃতবাসের মেয়াদ শেষ হবে না। তাই ক্রোয়েশিয়া শিবিরে উদ্বেগ থাকছে।


ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে ১০০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন পেরিসিচ। ক্রোয়েশিয়াকে ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন ইন্টার মিলানের হয়ে সেরি আ খেলা ফুটবলার।