রোম: বলা হচ্ছে, হ্যারি কেনের নেতৃত্বে এবার ইউরোয় খেলছে নতুন ইংল্যান্ড। শনিবার ভারতীয় সময় মাঝরাত পেরিয়ে ইউক্রেনকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সেই ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে তারা খেলবে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা উজ্জ্বীবিত ডেনমার্কের বিরুদ্ধে।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে জিতে ২৫ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।ম্যাচে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেন। বাকি দুটি গোল করেছেন হ্যারি ম্যাগ্যুয়ের ও জর্ডান হেন্ডারসন।
কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দুরন্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো পাস থেকে তিনি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বল পাঠিয়ে দেন। ইংল্যান্ডের শুরুটাও বেশ ভালোই হয়। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ইউক্রেনের ছন্দ পেতে কিছুটা হলেও সময় লাগে। প্রথম ৪৫ মিনিটের শেষের দিকে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর ছেলেরা পাল্টা লড়াই শুরু করে।
প্রি-কোয়ার্টারে সুইডেনকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছিল ইউক্রেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড শেষ ষোলোয় ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় জার্মানিকে। শেষ আটে ৪-০ গোলে ইউক্রেনকে বিধ্বস্ত করে টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড।
শেষ আটের লড়াইয়ে গোটা ম্যাচে ইংরেজদের কোনওরকম চাপেই ফেলতে পারলেন না ইউক্রেন ফুটবলাররা। এদিন ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। তারপর প্রথমার্ধে রাশ খানিকটা হালকা করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অন্য ফুটবল উপহার দিলেন কেন-রাহিম স্টার্লিংরা। প্রথমে রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ হ্যারি ম্যাগ্যুয়ের গোল করে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বাড়ান। এরপর ইংরেজদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন হ্যারি কেন। এদিনের ম্যাচে জোড়া গোলের মালিক হয়েছেন কেন। ম্যাচের চতুর্থ গোলটি আসে পরিবর্ত খেলোয়াড় হেন্ডারসনের হেড থেকে।
বড় টুর্নামেন্টের নক-আউটে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ৪ গোল করল ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছিল জার্মানিকে। ৫৫ বছরের সেই নজির স্পর্শ করলেন হ্য়ারি কেনরা।