কলকাতা: শারীরিক প্রতিকূলতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু অংশগ্রহণ করাই নয়, প্যারালিম্পিক্সের মঞ্চে রুপো জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু এরপরও একটা আক্ষেপ তাড়া করে বেড়াচ্ছে যোগেশ কাথুয়ানিয়াকে। এবার টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ডিসকাস থ্রোয়ে রুপো জিতেছেন যোগেশ। এবিপি লাইভ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফোনে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবিপি লাইভের সঙ্গে নিজের পদক জয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন এই প্যারা অ্যাথলিট। 


এবারে পুরুষদের ডিসকাস থ্রোয়ে এফ ৫৬ বিভাগে রুপো জিতেছেন যোগেশ। ৪৪.৩৮ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছুঁড়ে রুপো জিতেছেন। কিন্তু এরপরও যোগেশের আক্ষেপ রেকর্ড অল্পের জন্য হাতছাড়া হওয়ার। প্যারালিম্পিক্সে ডিসকাস থ্রোয়ে রেকর্ড ৪৫.৩৩ মিটার। এবিপি লাইভকে ফোনে কাথুয়ানিয়া বলছেন, 'করোনার জন্য আমাদের প্রস্তুতিতে অনেক ব্য়াঘাত ঘটেছিল। কিন্তু আমি প্রস্তুতিতে বেশ কয়েকবার ৪৫.৩৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলাম ডিসকাস থ্রোয়ে। দিল্লিতে ট্রায়ালের সময়ও আমি বেশ কয়েকবার ৪৫.৫৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলাম। এই বিভাগে বিশ্ব রেকর্ড ৪৬.৬৮ মিটার। আর আমি এই দূরত্ব খুব অনায়াসেই প্রস্তুতির সময় বারবার অতিক্রম করছিলাম। কিন্তু প্যারালিম্পিক্সের মঞ্চে ফাউল হয়ে গিয়েছিল। পোডিয়ামে উঠে রুপোর পদক যখন পেলাম, তখনও মাথায় এই বিষয়টা কাজ করছিল। প্যারালিম্পিক্স রেকর্ডটা গড়তে পারলে আমার আরও বেশি ভাল লাগত।'


২০০৬ সালে জি বি সিনড্রোম শরীরে দানা বাঁধে। কিন্তু পিছপা হননি বছর চব্বিশের যোগেশ। তিনি বলছেন, 'পরিবার আমাকে সবসময় সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শুরুর দিকে আমার মা আমার ফিজিও হিসেবেও কাজ করেছে। ২০১৭ সালে ডিসকাসের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়। এরপরই প্রস্তুতি শুরু করি। এটা আমার প্রথম প্যারালিম্পিক্স ছিল। পদক পাব আশা করিনি। তবে ট্র্যাকে নামার সময়ই একটা অত্মবিশ্বাস কাজ করছিল যে আমিও পারব।'


যোগেশের সাফল্য এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে এশিয়ান প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন। কিন্তু তার পরের বছরই বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন যোগেশ। হরিয়ানা এই তরুণ বলছেন, 'টোকিওতে প্রথম চেষ্টায় ফাউল না হলে হয়ত প্যারালিম্পিক্সের রেকর্ডটা গড়তে পারতাম। কিন্তু এখন আর পেছনে ফিরে তাকাতে রাজি নই আমি। আগামী বছর চিনে এশিয়ান প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। সেখানে ভাল পারফর্ম করাই লক্ষ্য।'