লখনউ: খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্য পেতে চেয়েছিলেন হরেন্দ্র সিংহ। অলিম্পিক, বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে পদক জয়ের স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। রবিবার অলিম্পিয়ান না হতে পারার দুঃখ ঘুচল। তাঁর কোচিংয়েই যে ১৫ বছর পরে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

ভারতের সিনিয়র হকি দলের প্রাক্তন গোলকিপার মীররঞ্জন নেগি ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাত গোল খেয়েছিলেন। সেই ম্যাচের পর দেশজুড়ে সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীকালে কোচ হয়ে ১৯৯৮ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতকে সোনা জিতিয়েছিলেন নেগি। তাঁর সঙ্গে মিল রয়েছে হরেন্দ্রর।

এবারের জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে পর্যন্তও হরেন্দ্রকে শুনতে হয়েছিল, তিনি যেমন খেলোয়াড় হিসেবে ব্যর্থ, তেমনই কোচ হিসেবেও সাফল্য নেই। রবিবার ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কোচ। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৮ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে আমি কোচিং শুরু করি। সেই সময় নিজেকে বলেছিলাম, আমি অলিম্পিয়ান হতে না পারলেও অলিম্পিয়ান এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তৈরি করে দেশকে গর্বিত করব। বিশ্বকাপে দেশের পতাকা সবার উপরে থাকবে, এটাই দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ভারতীয় দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য আমি ২২ বছর ধরে পরিশ্রম করেছি। আজ আমরা স্বপ্ন সফল হয়েছে।’

তবে একজন আদর্শ কোচের মতোই দলের খেলোয়াড়দের আত্মত্যাগের কথাও বলেছেন হরেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, গোলকিপার কৃষ্ণ পাঠক জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার জন্য বাবার শেষকৃত্যে হাজির থাকেননি। দলের প্রতি এই খেলোয়াড়দের এই দায়বদ্ধতার জন্যই বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে ভারত।