জাকার্তা: বাবা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি পঞ্জাবের একটি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে দেখতেও যেতে পারেননি তেজিন্দর পাল সিংহ তুর। এই অ্যাথলিট ব্যস্ত ছিলেন এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতিতে। আজ তিনি এই আত্মত্যাগের ফল পেয়েছেন। এশিয়ান গেমসে শটপাটে রেকর্ড গড়ে দেশকে সোনা এনে দেওয়ার পর এবার বাবাকে দেখতে যাবেন তেজিন্দর। তবে সেটাও মাত্র দু’দিনের জন্য। তাঁকে যে পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হতে হবে।


পঞ্জাবের মোগা জেলায় বাড়ি ২৩ বছরের এই অ্যাথলিটের। আজ তিনি পঞ্চমবারের চেষ্টায় ২০.৭৫ মিটার দূরে শট ছুঁড়েছেন। এশিয়ান গেমসে নয়া রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ৬ বছরের পুরনো জাতীয় রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন তেজিন্দর। ২০১২ সালে মে মাসে হাঙ্গেরির একটি প্রতিযোগিতায় ২০.৬৯ মিটার দূরে শট ছুঁড়েছিলেন ওমপ্রকাশ কারহানা। আজ তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন তেজিন্দর।

আজ রেকর্ড গড়ার পর তেজিন্দর বলেছেন, ‘আমি সোনা জেতার কথা ভাবিনি। শুধু ২১ মিটারের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য ছিল। তবে যা ফল করতে পেরেছি তাতে আমি খুশি। গত দু-তিন বছর ধরেই জাতীয় রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করছিলাম। আজ সেটা করতে পারলাম। এই পদকটাই আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য। কারণ, এর জন্য অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। গত দু’বছর ধরে আমার বাবা কর্ম সিংহ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। আমার পরিবার কোনওদিন আমাকে লক্ষ্যচ্যুত হতে দেয়নি। আমার স্বপ্নের পিছনে ছুটতে সাহায্য করেছে পরিবার। আমার পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা অনেক আত্মত্যাগ করেছে। আজ তারই ফল পেলাম। ওরা কোনওদিন আমাকে হাসপাতালে যেতে বলেনি। আমার বন্ধুরাই সবসময় হাসপাতালের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। আমার কোচ এম এস ধিলোঁকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। আমি ধর্মশালায় অনুশীলন চালাচ্ছিলাম বলে বাড়িতেও খুব কমদিনই গিয়েছি। এবার আমি বাবাকে দেখতে যাব। তবে সেখানে মাত্র দু’দিনই থাকব। কারণ, পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হতে হবে।’