দোহা: গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাসনের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই হচ্ছে না। চিলির অভিযোগ উড়িয়ে দিল আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন। কাতার বিশ্বকাপে অবশ্যই খেলবে ইকুয়েডর। জানিয়ে দেওয়া হল ফিফার তরফে। 


উল্লেখ্য, ইকুয়েডর কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিল বাছাই পর্ব খেলে। কিন্তু চিলি অভিযোগ আনে, ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার বয়স ভাঁড়িয়ে খেলেছেন। ভুল জন্মসাল দেখিয়েছিলেন সেই ফুটবলার, এমনও অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি চিলি দাবি জানায়, ইকুয়েডরকে যেন বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। সেই অভিযোগ তদন্ত করে অবশেষে ফিফা রায় দিল, চিলির অভিযোগ সত্য নয়। ফলে ইকুয়েডরই থাকছে কাতার বিশ্বকাপে।


দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সাত নম্বরে থেকে শেষ করেছিল চিলি। ভিদালের দেশ সেই সময় অভিযোগ জানিয়েছিল যে ইকুয়েডরের হয়ে খেলা রাইটব্যাক বায়রন দাভিদ কাস্তিয়ো জন্ম ও বয়েসর ভুয়ো প্রমাণপত্র দেখিয়েছেন। তাঁর জন্ম না কি কলম্বিয়ায়। চিলির এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইকুয়েডরের হয়ে কাস্তিয়ো বাছাইপর্বে যে আট ম্যাচ খেলেছেন, তার সব কটিতেই পয়েন্ট কাটত ফিফা। আর সেই পয়েন্টগুলো প্রতিপক্ষ দল পেয়ে যেত। এর ফলে চিলি আরও বেশি পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে যেতে পারত। তা হয়নি। যদিও ফিফার সিদ্ধান্তে চাপমুক্ত ইকুয়েডর ফুটবল দল। উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে ইকুয়েডরের প্রতিপক্ষ কাতার, সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। ২০ নভেম্বর কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে।


বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভিনিসিয়াস


রিয়াল মাদ্রিদ এই সপ্তাহেই লা লিগায় মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। তার আগে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিনিসিয়াসের গোল সেলিব্রেশন। ফুটবলে গোল করার পর খেলোয়াড়দের সেলিব্রেশনের দিকে বরাবরই দর্শকদের নজর কাড়ে। ভিনিসিয়াসেরও গোলের পর নাচের সেলিব্রেশন বেশ প্রসিদ্ধ হয়েছে। সেই নাচকে কেন্দ্র করেই যত কাণ্ড। ভিনিসিয়াসকে বিতর্কিত ভাষায় এই নাচ বন্ধ করতে বলেই চরম বিপাকে স্প্যানিশ এজেন্ট। নেমার অল্প কথার এক ট্যুইটে ভিনিসিয়াসের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়ে লেখেন, 'বাইলা ভিনি জুনিয়ার।' এই পর্তুগিজ শব্দের বাংলা অর্থ হল নাচ। 


ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেও ভিনিসিয়াসের সমর্থনে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'ফুটবল হল আনন্দ। ফুটবল হল নাচ। দুর্ভাগ্যবশত যদিও সমাজে এখনও বর্ণবিদ্বেষ রয়েছে, তবে তাতে আমরা নিজেদের হাসিখুশি থাকা থামিয়ে দেব না। বরং এভাবেই আমার প্রতিদিন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের সম্মান পাওয়া ও খুশি থাকার অধিকার পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।'