দোহা: একপেশে প্রথমার্ধে লিওনেল মেসি ও অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া আর্জেন্তিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিল। ফ্রান্স গোলের তেকাঠির মধ্যে একটি শট পর্যন্ত রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলাটা অনেকটা একইভাবে এগোচ্ছিল। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল মেসি বিশ্বকাপ হাতে তুলতে চলেছেন ঠিক তখন ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে ম্যাচে ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচ ২-২ শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে।


অতিরিক্ত সময়ে ১০৯ মিনিটে লিওনেল মেসি ফের একবার গোল করে আর্জেন্তিনাকে গোল করে ম্যাচে এগিয়ে দেন মেসি। তবে ১১৮ মিনিটে এমবাপে ফের গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান এমবাপে। জিওফ হার্স্টের পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে শেষমেশ পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্তিনা। ফের একবার পেনাল্টি শ্যুট আউটে নায়কোচিত পারফর্ম করেন আর্জেন্তিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। অরিলিয়ঁ চাউমেনি ও কিংগসলে কোমানের পেনাল্টি বাঁচান মার্তিনেজ।


প্রথমার্ধের খেলা


ফাইনালে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) গোলের প্রত্যাশায় ছিলেন সকল আর্জেন্তাইন সমর্থকই। হতাশ করলেন না 'এলএম১০'। ২৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্স থেকে গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। উসমান দেম্বেলে পেনাল্টি বক্সে অ্যাঙ্খেল দি মারিয়াকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্তিনা। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন মেসি। ফ্রান্স গোলরক্ষক উগো লরিস ভুল দিকে ঝাঁপান। আর্জেন্তিনা এই বিশ্বকাপে এই নিয়ে মোট পাঁচটি পেনাল্টি পেল, যা বিশ্বকাপের রেকর্ডও বটে। মেসি চলতি বিশ্বকাপে ষষ্ঠ গোল করে ফেললেন। কিলিয়ান এমবাপে গোল করতে না পারলে, এই বিশ্বকাপের সর্বার্ধিক গোলদাতা হিসাবে গোল্ডেন বুট জিতবেন মেসিই।


প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে আসলেও, দ্বিতীয় গোলে আর্জেন্তিনার দুরন্ত ফুটবলের পরিচয় মেলে। এই গোলেও মেসির অবদান ছিল। তাঁর রক্ষণভেদী পাস থেকে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান অ্যালেক্সিস ম্য়াক অ্যালিস্টার। তাঁর পাস থেকে অনবদ্য এক গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দিলেন দি মারিয়া। কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করেছিলেন দি মারিয়া, গোল করেছিলে দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন, ইতালি-আর্জেন্তিনার ফাইনালিসিমা ম্যাচেও। এবার ফের একবার বড় মঞ্চে গোল করে দি মারিয়া আবারও নিজের দক্ষতা চেনালেন।


এমবাপের জাদু


ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় অনেকটা আর্জেন্তিনার পাওয়া পেনাল্টির রিপ্লের মতোই ওতামেন্দি বক্সের একইরকম জায়গায় কোলো মুয়ানিকে ফাউল করেন। আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান ফ্রান্সের হয়ে সচরাচর পেনাল্টি মারেন। তবে তিনি মাঠে না থাকায় পেনাল্টি থেকে গোল করার দায়িত্ব পান এমবাপে। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঠিক দিকে ঝাঁপালেও, তাঁর হাতে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। আর দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে থুরামের সঙ্গে অনবদ্য ওয়ান -টু খেলে এক দুর্দান্ত ভলি থেকে মার্তিনেজকে পরাজিত করেন এমবাপে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে মেসি বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত এক শট নিলেও ফ্রান্স গোলরক্ষক উগো লরিস তা বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচ ২-২ শেষ হওয়ায় তা অতিরিক্ত সময়ে গড়াল।


অতিরিক্ত সময়ে ১০৯ মিনিটে লিওনেল মেসি ফের একবার গোল করে আর্জেন্তিনাকে গোল করে ম্যাচে এগিয়ে দেন মেসি। তবে ১১৮ মিনিটে এমবাপে ফের গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান এমবাপে। জিওফ হার্স্টের পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে শেষমেশ পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্তিনা। ফের একবার পেনাল্টি শ্যুট আউটে নায়কোচিত পারফর্ম করেন আর্জেন্তিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। অরিলিয়ঁ চাউমেনি ও কিংগসলে কোমানের পেনাল্টি বাঁচান মার্তিনেজ।


আরও পড়ুন: ফাইনালে নেমেই মেসির বিশ্বরেকর্ড, ভেঙে দিলেন জার্মান কিংবদন্তির কীর্তি