সৌরভ বন্দোপাধ্যায়, রিষড়া: শনিবার ইডেনদর্শন করেছিলেন, অংশ নিয়েছিলেন প্রীতি ম্যাচে। রবিরার দুই বারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলীয় ফুটবল (Brazil Football Team) অধিনায়ক কাফুকে (Cafu) দেখা গেলো হুগলির রিষড়ায়। স্বস্ত্রীক কাফু রবিবার সকালে রিষড়ার বাঙুর পার্ক এলাকায় নিজের অনুগামীদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন। বল পায় নিয়ে কচিকাচাদের সঙ্গে ফুটবলও খেললেন কিংবদন্তি ফুটবরলার।
কাফুর রিষড়া দর্শন
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য ভারতে এসেছেন ব্রাজিলীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কাফু। গতকাল সেই টুর্নামেন্টে শুরুর আগেই এক চ্যারিটি ম্যাচেও অংশ নেন তিনি। আজ পৌঁছলেন রিষড়ার। ১৯৯৪ ও ২০০২, দুই ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে কাফুর দখলে। তাঁর নেতৃত্বেই ব্রাজিল শেষবার প্রায় দুই দশক আগে বিশ্বকাপ জয় করেছিল। রবিবার সকালেই হুগলির রিষড়ার একটি ফুটবল মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার কাফুর পায়ের জাদুর ছোঁয়া পেয়ে খুশি রিষড়ার মানুষরাও। নিজেদের প্রিয় ফুটবলার কে দেখতে কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছিলেন রিষড়ার সাধারণ মানুষও।
পশ্চিমবঙ্গে এসে তাঁর কেমন লেগেছে সেই বিষয়ও একেবারে অকপটে জানান কাফু। তিনি কলকাতার মানুষজনের ব্রাজিলপ্রীতি দেখে আপ্লুত। ভারতীয় জনগণের ফুটবলের প্রতি ভালবাসা দেখে ব্রাজিলের পাশাপাশি শীঘ্রই ভারতীয় দলকেও বিশ্বকাপে খেলতে চান বলে জানান কাফু। প্রসঙ্গত, তিনি গতকাল চ্যারিটি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ইডেনদর্শনও করেছিলেন। সেখানে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালও দেখেন কাফু।
ইডেনে কাফু
কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ানের ইডেন সাক্ষাতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল বা সিএবির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। সভাপতির ঘরেই কাফু বেশ খানিকটা সময় কাটান। পুষ্পস্তবক দিয়ে কাফুকে অভ্যর্থনাও জানান স্নেহাশিস। কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ানের ইডেন দর্শনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সিএবি সভাপতি বলেন, 'কাফুর মতো একজন কিংবদন্তি ফুটবলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারাটা সৌভাগ্যের। ওঁ ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার যিনি নিজের অনবদ্য খেলার মাধ্যমে সকলেরই মন জিতেছেন। ওঁ অনেকটা দলের ইঞ্জিনের মতো ছিলেন, যিনি শেষ বাঁশি পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতেন। সত্যিই ওঁর দেখা পাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের।'
তারপরেই ফুটবল কিংবদন্তি মজেন ক্রিকেটে। শনিবারই ইডেনে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনাল ছিল। সেই ফাইনালে হিমাচল প্রদেশের মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই। স্নেহাশিস এবং অন্যান্য সিএবি আধিকারিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর পরেই কাফু ইডেনের লোয়ার টিয়ারে মুস্তাক আলির ফাইনাল দেখবেন বলে নেমে আসেন। তিনি বেশ আগ্রহ সহকারে গোটা ম্যাচও দেখেন। মোহময়ী ইডেন ব্রাজিলের প্রাক্তন অধিনায়কের বেশ মনে ধরেছে। ফুটবলপ্রেমী কলকাতাও কাফুর বেশ মনে ধরেছে। এদিন তিনি ভবিষ্যতেও আবার কলকাতায় ফেরার অঙ্গীকার করেই ইডেন ছাড়েন।
আরও পড়ুন: ঘটনাবহুল ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন লেনি, পিছিয়ে পড়েও ড্র করল এটিকে মোহনবাগান