বুয়েনস আইরেস: প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই হেরেছিল আর্জেন্তিনা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে যা ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথম পরাজয়। পেরুর বিরুদ্ধে (Argentina vs Peru) পরের ম্যাচের আগে আর্জেন্তিনা শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছিল চোট আঘাত। যে কারণে ভারতীয় সময় বুধবার ভোরের ম্যাচে নিয়মিত দলের ফুটবলারদের মধ্যে পাঁচজনকে পাননি কোচ লিওনেল স্কালোনি।
তবে পেরুকে হারিয়ে ফের জয়ের সরণিতে ফিরল লা আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কার্যত কনফার্ম করে ফেলল নীল সাদা শিবির। বুয়েনস আইরেসে ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট হয়ে গেল আর্জেন্তিনার। ১০ দলের বিভাগে যা অন্তত ষষ্ঠ স্থানে থাকার মতো পয়েন্ট বলেই বরাবর মনে করা হয় ফুটবল বিশ্বে। আর বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আমেরিকা পর্ব থেকে ছয় দল সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করে। তাই আর্জেন্তিনার পরেরর বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ কার্যত নিশ্চিত।
বুধবার ভোরের ম্যাচে পেরুর বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করলেন লউতারো মার্তিনেজ। লিওনেল মেসি আর্জেন্তিনার জার্সিতে মাঠে থাকবেন, আর ম্যাচে কোনও প্রভাব বিস্তার করবেন না, তা আবার হয় নাকি! মার্তিনেজের গোলের নেপথ্যেও মেসি।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিন পদক, দেশের মুখ উজ্জ্বল করল সমন্যু
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, পেরু কি তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আটকে দিয়ে চমক দেবে? তবে ৫০ মিনিটের মাথায় ছিঁড়ে গেল সেই শিকল। বক্সের বাঁদিক থেকে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বাইসাইকেল কিকে দুরন্ত গোল করেন মার্তিনেজ়। বাকি ম্যাচে কোনও দলই আর কোনও গোল করতে পারেনি।
এমনিতে পেরুর বিরুদ্ধে ঈর্ষণীয় রেকর্ড আর্জেন্তিনার। বুধবারের পর তা আরও ভাল হল। এখনও পর্যন্ত দুই দেশ ৫৯ ম্যাচ খেলেছে। আর্জেন্তিনা জিতেছে ৩৮টি ম্যাচে। মাত্র ৭ ম্যাচে জিতেছে পেরু। ১৪ ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে।
আরও পড়ুন: শোয়েবের বলে ভেঙেছিল পাঁজর, তা নিয়েই ব্যাটিং! সচিনের অবিশ্বাস্য গল্প শোনালেন সৌরভ