রিও ডি জেনিরো : মুখোমুখি ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা। ফুটছিল গ্যালারি। এই ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ যে থাকবেই , সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেটা যে এইরকম অপ্রীতিকর জায়গায় পৌঁছবে, ভাবতে পারেননি কেউই।  মারাকানায়  ( Maracana Stadium )ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের ( FIFA World Cup qualifier match) (Brazil vs. Argentina in World Cup qualifier )আগে ঘটে গেল ধুন্ধমার কাণ্ড। আর তার জেরে মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। 


ভারতীয় সময় অনুসারে সকাল ৬ টা শুরু হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ম্যাচ পিছিয়ে যায় ৩০ মিনিট। ঝামেলাটা দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে পুলিশি হস্তক্ষেপ। অশান্তি চরম আকার নেয়।            






মাঠে তখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দুই দেশের খেলোয়াড়রা। আর ঠিক সেই সময়ই ক্যামেরার আউটপুটে ধরা পড়ে গ্যালারির এক জায়গায় অশান্তি দমন করতে পুলিশের লাঠি ধরার ছবি। পুলিশ দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি দমন করতে গিয়ে লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মাঠের এক প্রান্তে আর্জেন্তিনা সমর্থকদের লাঠিপেটা করতে শুরু করে পুলিশ।  লিওনেল মেসির দল স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় রাগ ধরে রাখতে পারেনি। 


মেসির চোখ সেদিকে যেতেই সতীর্থদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তারপর তাঁকে কর্মকর্তা ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। এর পরেই মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ক্ষুব্ধ মেসি তার টিমকে নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে স্পষ্ট বলে দেন, ‘আমরা খেলছি না, আমরা চলে যাচ্ছি।’ 

কিন্তু মাঠ ছাড়েননি ব্রাজিলের প্লেয়াররা । খেলার আধিকারিকরাও অবশ্য সেই সময়ে মাঠেই দাঁড়িয়েছিলেন। পরে অবশ্য আর্জেন্তিনা খেলোয়াড়রা শীঘ্রই মাঠে  ফিরে আসেন এবং ম্যাচটি সকাল সাড়ে ৬ টায় শুরু হয়। 


তবে এই অশান্তির জবাব কার্যত মাঠে দিয়েছে মেসির দল।  ম্যাচের প্রথমার্ধে ম্যাচ ছিল গোলশূন্য । দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটের মাথায়  গোল করে আর্জেন্তিনা।  তারপর আর ম্যাচে সমতা আনতে পারেনি ব্রাজিল।