হিউস্টন: ইউরো কাপে দিন কয়েক আগে পেনাল্টি নষ্ট করে মাঠেই হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া কোপা আমেরিকার (Copa America) কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে গোল করার সুযোগ নষ্ট করলেন লিওনেল মেসি। রোনাল্ডোর রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছিলেন গোলকিপার দিয়েগো কোস্তা। পর্তুগালকে তুলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। আর কোপা কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্তিনার (Argentina vs Ecuador) উদ্ধারকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ়। টাইব্রেকারে দুটি গোল বাঁচিয়ে নায়ক ফের দিবু-ই। ইকুয়েডরকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শেষ চারে আর্জেন্তিনা


কোনও বড় টুর্নামেন্টের নক আউট পর্ব এলেই যেন গোলের নীচে দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ় (Emiliano Martinez)। সমর্থকেরা যাঁকে ভালবেসে ডাকেন দিবু নামে। সেই দিবুর চওড়া হাতই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্ম করে দিল।


ইকুডেরের কোচ ফেলিক্স স্যাঞ্চেজ় ম্যাচের আগেই বলেছিলেন, আর্জেন্তিনার কাজ সহজ হবে না। মাঠেও সেটা প্রমাণ করে ছাড়লেন তাঁর ছাত্রেরা। শুরু থেকে দুরন্ত গতি আর প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলে আর্জেন্তিনাকে চাপে রেখেছিল ইকুয়েডর। বল পজেশনেও সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে। গোটা ম্যাচে আর্জেন্তিনা যেখানে ৫১ শতাংশ বলের দখল রেখেছিল, ইকুয়েডরের পায়ে বল ছিল ৪৯ শতাংশ। আর্জেন্তিনা ২টি কর্নার পেয়েছে ম্যাচে। ইকুয়েডর ৫টি।


পেরুর বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঊরুর চোটের জন্য খেলেননি মেসি। এদিন অবশ্য শুরু থেকেই তাঁকে মাঠে নামিয়েছিলেন আর্জেন্তিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে মেসির দিন ছিল না। মাঠে বেশ নিষ্প্রভই দেখিয়েছে ফুটবল বিশ্বের মহাতারকাকে। ঝলক দু-একবার দেখিয়েছেন। গোলের বল বাড়িয়েছেন। তাঁর মারা কর্নার কিক থেকেই গোল পায় আর্জেন্তিনা।


ম্যাচের বয়স তখন ৩৫ মিনিট। মেসির কর্নারে ম্যাক অ্যালিস্টরের শট থেকে গোল করে যান লিজ়ান্দ্রো মার্তিনেজ়। আর্জেন্তিনার হয়ে প্রথম গোল তাঁর। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।


দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে ইকুয়েডরের কর্নার বক্সে রদ্রিগো দে পলের হাতে লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে পোস্টে মেরে বসেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় ইকুয়েডর।


দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল করে ইকুয়েডর। গোল করেন কেভিন রদ্রিগেজ়। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে। কোপার নিয়ম মেনে এরপর সরাসরি টাইব্রেকার। আর সেখানে মেসির প্রথম শটই ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। তবে পরপর ২ গোল বাঁচিয়ে আর্জেন্তিনাকে অক্সিজেন দেন দিবু। প্রথমে মিনার শট নিজের বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান। এরপর পরিবর্ত হিসাবে নামা হুলিয়ান আলভারেজ় গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দেন। ইকুয়েডরের দ্বিতীয় শটও রুখে দেন দিবু। এবার নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান অ্যালান মিন্ডার শট। আর্জেন্তিনার হয়ে এরপর ম্যাক অ্যালিস্টার, মন্তিয়েল ও নিকোলাস ওতামেন্দি গোল করেন। ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে মেসিরা।


আরও পড়ুন: ''মা তুঝে সালাম...'', সংবর্ধনা মঞ্চে ওয়াখেড়ের দর্শকদের সঙ্গেই গলা মেলালেন বিরাট, হার্দিকরা





আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।