কলকাতা: সর্বভারতীয় ক্লাব মরশুম জয় দিয়ে শুরু করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। চলতি ডুরান্ড কাপে তাদের প্রথম ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে ৩-১-এ হারাল গতবারের রানার্স আপ দল। প্রথমার্ধে বিমানবাহিনীর দলের মিডফিল্ডার সোমানন্দ সিংয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা আনেন ডেভিড লালনসাঙ্গা এবং দ্বিতীয়ার্ধে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস ও সল ক্রেসপোর গোলে জয় আসে। 


দ্বিতীয়ার্ধে গত আইএসএলের গোল্ডন বুটজয়ী তারকা দিয়ামান্তাকস নামার পরেই দলের চেহারা পাল্টে যায় এবং তারা জয় নিশ্চিত করে ফেলে। এ দিন ম্যাচের ছ’মিনিটের মধ্যেই পরপর দু’টি সুবর্ণ সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি কিক থেকে লালনসাঙ্গার শট প্রথমে পোস্টে লেগে ফিরে আসে এবং পরে ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে গোলকিপার শুভজিৎ বসুকে পরাস্ত করতে পারেননি গত আই লিগের সেরা স্কোরার। তিন বিদেশি সহ শক্তিশালী দলই নামায় ইস্টবেঙ্গল। এয়ারফোর্স দল যে সময়ে ডিফেন্স করতেই ব্যস্ত ছিল। ঠিক তখনই, ১৯ মিনিটের মাথায় অপ্রত্যাশিত ভাবে গোল পেয়ে যায় তারা। দুর্দান্ত এক ফ্লিকে জালে বল জড়িয়ে দেন সোমানন্দ।


শেষ পর্যন্ত বহু চেষ্টার পর ৪৩ মিনিটের মাথায় বহু প্রতীক্ষিত গোলটি পেয়ে যান লালনসাঙ্গা। মাঝমাঠ থেকে মাদি তালালের বাড়ানো বল পেয়ে প্রায় একা বক্সের সামনে গিয়ে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে বল জালে জড়িয়ে দেন লালনসাঙ্গা। এর পরে গোলের সুযোগ পান নাওরেম মহেশ। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরিবর্ত হিসেবে মাঠে আসেন দিয়ামান্তাকস ও পিভি বিষ্ণু। জোড়া ফরোয়ার্ড মাঠে নামার পরেই তাদের আক্রমণে ধার আরও বাড়ে। যার জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জোড়া পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত, সেই উদ্দেশ্য সফল হয় ৬১ মিনিটের মাথায় দিয়ামান্তাকসের হেডে। বাঁ দিক থেকে তাঁকে মাপা ক্রস বাড়ান জোথানপুইয়া। গোলের সামনে থেকে দুর্দান্ত হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন গত আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্রিক তারকা। 


৬৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে থেকে সল ক্রেসপোকে কোণাকুনি পাসে বল পাঠান দিয়ামান্তাকস। গোলের উল্টোদিকে মুখ করে থাকা ক্রেসপো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ধোঁকা দিয়ে গোলে শট নেন, যা গোলকিপারকে পরাস্ত করে পোস্টে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এরপর আর ম্য়াচে ফিরতে পারেনি ভারতীয় বায়ুসেনা।                                                       


                                                                                                                                                                            তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া