কলকাতা: দিন কয়েক আগেই হারের হ্যাটট্রিকের পর বিদায় নিয়েছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এবার তাঁর পরিবর্তে  নতুন কোচ বেছে নিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মরশুমের শেষ পর্যন্ত লাল হলুদের দায়িত্ব পেলেন অস্কার ব্রুজোন (Óscar Bruzón)।


বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে একাধিক খেতাব জেতানো ছাড়া, ভারতীয় ফুটবলে মুম্বই সিটির মতো ক্লাবের সঙ্গে অতীতে কাজ করছেন অস্কার। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে সে দেশের অনেক  শিরোপা এনে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অতীতে ভারতের স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া, মুম্বই সিটি এফসি এবং মুম্বই এফসির সাথেও কাজ করেছেন।


ব্রুজোনকে স্বাগত জানিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি এশিয়ায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের সাথে তাঁর সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এএফসি প্রতিযোগিতায় তাঁর অভিজ্ঞতা তাঁকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার জন্য আদর্শ ব্যক্তি করে তুলেছে। পাশাপাশি, তিনি ইতিমধ্যে ভারতীয় ফুটবল সার্কিটের সাথেও পরিচিত। কারণ, তিনি স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া এবং মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে কাজ করেছেন।


ব্রুজোন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচ। বসুন্ধরা কিংসকে ১১৪ ম্যাচে ৯৪টি জয় এনে দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি মাত্র সাতটি ম্যাচে হেরেছেন এবং ১৩টি-তে ড্র করেছেন। ব্রুজোনের অধীনে বসুন্ধরা কিংস পাঁচ বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, তিনবার করে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ শিরোপা জিতেছে। এছাড়াও, ব্রুজোনের কোচিংয়ে বসুন্ধরা কিংস ১১৪ ম্যাচে ২৭৭ গোল করেছে এবং মাত্র ৮০টি গোল হজম করেছে। ২০২১ সালে তাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।


এএফসি-র টুর্নামেন্টেও একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে ব্রুজোনের। মলদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্ট এফসি এবং বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ১৯টি এএফসি কাপ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতেই দলকে জিতিয়েছেন তিনি এবং ৩৬ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। গত মরশুমে এএফসি কাপে দু'টি আইএসএল ক্লাবকে পরাজিত করে তাঁর দল। তবে অল্পের জন্য নকআউট পর্বে পৌঁছতে পারেনি তারা। 


ফুটবলার হিসেবে একজন উইঙ্গার এবং সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা ব্রুজোন কোচ হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন আরিওসা এবং সেল্টা দ্য ফিগোর যুব দলে। ২০১২-য় তিনি স্পোর্টিং ক্লুবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৩-১৪-য় দলকে গোয়া প্রফেশনাল লিগের শিরোপা জেতান।


২০১৫-১৬ আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসির সহকারী কোচ এবং ২০১৭-র আই-লিগে মুম্বই এফসির প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মলদ্বীপে নিউ রেডিয়েন্ট এসসি-র কোচ হিসেবে প্রথম মরশুমেই দিবেহি প্রিমিয়ার লিগ, মলদ্বীপ এফএ কাপ, প্রেসিডেন্টস কাপ এবং মলদ্বীপ এফএ চ্যারিটি শিল্ড জিতিয়েছিলেন। ৪৭ বছর বয়সি কোচ ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যবদল করতে পারেন কি না, এবার সেটাই দেখার।


(তথ্য: আইএসএল মিডিয়া)


আরও পড়ুন: বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন মেহতাবের; মায়ের কাছে সুবিচারের প্রার্থনা