কলকাতা: ২০১৪ সালে আইএসএলের (ISL) উদ্বোধনী মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্য়াথলেটিকো দ্য কলকাতা (ATK FC) বা তৎকালীন এটিকে ক্লাব। সেই দলেরই তারকা বিদেশি ছিলেন ফিকরু টেফেরা। উদ্বোধনী মরশুমের প্রথম ম্য়াচে টেফেরা দুর্দান্ত গোলে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। ইথিওপিয়ার ফরোয়ার্ড নিজের পারফরম্য়ান্সের মধ্যে দিয়ে প্রথম মরশুমে এটিকেকে চ্যাম্পিয়নও করেন। এছাড়া মাত্র দুটো মরশুমই খেলেছিলেন তিনি আইএসএলে।
টেফেরার সেলিব্রেশনের স্টাইল ছিল নজরকাড়া। গোলের পর সমারভল্ট মারতেন। ফিকরু এটিকে এফসিতে যোগ দিয়েছিলেন তেমন কোনও হইচই ছাড়াই। কিন্তু মাঠে প্রথম দিন থেকেই তিনি নিজের নাম লিখে ফেলেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে এই ইথিওপিয়ান ফরোয়ার্ডই করেছিলেন টুর্নামেন্টের প্রথম গোল। সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলার প্রথমার্ধের শেষে সেদিন মুম্বই গোলরক্ষক সুব্রত পালকে টেক্কা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন নিঁখুতভাবে। তাঁর অ্য়াক্রোবেটিক ভঙ্গিতে উদযাপন দর্শকদের মাতিয়ে রাখত গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে। এমনকী গতিও ছিল ফিকরুর শক্তি। যা দিয়ে অনায়াসেই প্রতিপক্ষ শিবিরের মাঝমাঠকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।
প্রথম মরশুমে এই স্ট্রাইকার পাঁচ গোল করেছিলেন, তিনটি অ্য়াসিস্ট করেছিলেন। লিগ পর্বে এটিকে তৃতীয় স্থান দখলে সাহায্য করেছিল। চোটের কারণে নিজে প্লে অফে খেলতে পারেননি। কিন্তু ফিকরু না থাকলেও কেরালাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এটিকে সেই মরশুমে খেতাহ জিতে নেয়।
২০১৫ সালে ফের আইএসএলে ফিরে এবার অবশ্য এটিকেতে নয়। চেন্নাই এফসির হয়েই খেলতে নেমেছিলেন। মার্কো মাতেরাজ্জি ছিলেন তৎকালিন চেন্নাই সিটি এফসির কোচ। তবে ফিকরুর জন্য মূল সমস্যা হয়ে যায় চেন্নাইয়ের একাদশে সুযোগ পাওয়া। তাঁর থেকেও অনেক উন্নতমানের ফরোয়ার্ড ছিলেন। ফলে চেন্নাইয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি ইথিওপিয়ার এই ফরোয়ার্ড। সে মরশুমে তার একমাত্র গোলটি এসেছিল তাঁর পুরনো দল এটিকে এফসির বিরুদ্ধে।কলকাতায় সেমিফাইনালে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নেমে জয়সূচক গোলটি করেন, যা এটিকে এফসির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ করে দেয়। দীর্ঘ সময়ে আইএসএলে খেলেননি। কিন্তু প্রথম গোলের জন্য় নামটা তাঁরই স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এক ও একমাত্র ফিকরু টেফেরা।
আইএসএলে খেলার পরও কলকাতা ময়দানে খেলেছিলেন ফিকরু। তিনি দ্বিতীয় ডিভিশনে থাকা সে সময়ের মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সিতেও মাঠে নেমেছিলেন। যদিও ২০১৮ সালের পর থেক আর পেশাদার ফুটবলে দেখা যায়নি টেফেরাকে।