দোহা: ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ময়দানে ফের একবার মাঠে নেমেছিল ওয়েলশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে (USA vs Wales) আল রায়ান স্টেডিয়ামে ম্যাচকে ঘিরে তাই ওয়েলশ সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। তবে জেতা তো দূর, কোনওক্রমে হার এড়াল ওয়েলশ। দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন দলের সুপারস্টার ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল (Gareth Bale)। তাঁর গোলেই ১-১ স্কোরালাইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করল ওয়েলশ।


পেলের পর ওয়ে


এদিন প্রথমার্ধে ওয়েলশ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ ও উচ্ছ্বাসের সামনে তেমন কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যালিসম্যান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ গোল না পেলেও, গোলের পাসটি বাড়ান। চেলসি ফরোয়ার্ডের পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন ফিফার প্রাক্তন বর্ষসেরা ফুটবলার তথা লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়ে পুত্র টিমোথি ওয়ে। ১৭ বছরের পেলের পর বিশ্বকাপে ওয়েলশের বিরুদ্ধে ২২ বছরে টিমোথিই প্রথম গোলটি করেন। প্রথমার্ধে অত্যন্ত সাধারণ ফুটবল খেলে ওয়েলশ। একটিও শট যুক্তরাষ্ট্রের তেকাঠির মধ্যে পর্যন্ত রাখতে পারেননি গ্যারেথ বেলরা।


ত্রাতা সেই বেল


তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিফার মোরের আগমনে ওয়েলশ ম্যাচে নতুন উদ্যম ফিরে পায়। প্রথমার্ধের একপেশে ম্যাচের পরিবর্তে শুরু হয় লড়াই। বেন ডেভিস এবং মোর, উভয়েই গোলের সুযোগ পান। তবে ওয়েলশ কিছুতেই গোল করতে পারছিল না। অবেশেষে নির্ধারিত সময়ের নয় মিনিট আগে সেই সুযোগ আসে। ওয়াকার জিমারম্যান যুক্তরাষ্ট্রের পেনাল্টি বক্সে গ্যারেথ বেলকে ফাউল করে বসেন। পেনাল্টি পায় ওয়েলশ। মাথা ঠান্ডা রেখে সুন্দর পেনাল্টিতে ওয়েলশের হয়ে সমতা ফেরান গ্যারেথ বেল। রাষ্ট্রনায়কের জালে বল জড়িয়ে দেওয়ার পর ঠিক গোলের পিছনে থাকা ওয়েলশ সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।


ম্যাচে সমতামূলক গোল পাওয়ার পর ওয়েলশেই শেষটা বেশি ভালভাবে করে। তবে ম্যাচে আর গোল হয়নি। ম্যাচ ড্রয়েই শেষ হয়। প্রথমার্ধের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরেও এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন বেলরা। প্রসঙ্গত, এই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক তারকা জিওভানি রেইনা মাঠে নামেননি। ওয়েলশ ইরানের বিরুদ্ধে নিজেদের পরের ম্য়াচে মাঠে নামবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ইরানকে ৬-২ স্কোরলাইনে দুরমুশ করা ইংল্যান্ড।


আরও পড়ুন: সেনেগালের ফাঁড়া কাটিয়ে শেষ মুহূর্তের জোড়া গোলে জয়ী নেদারল্যান্ডস