কলকাতা: ঘরের মাঠে নামার আগে প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Supergiant)। দ্বিতীয় লেগে ওড়িশার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। দলের হয়ে গোল করেন জেসন কামিংস ও আব্দুল সামাদ। দুই লেগ মিলিয়ে মোট ৩-২ গোলে এগিয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করল অ্যান্তানিও লোপেজ হাবাসের দল। শিল্ডজয়ের পর এবার ফের আরও একটা আইএসএল খেতাব জয়ের সুযােগ সবুজ মেরুন বাহিনীর সামনে। 


এদিন যুবভারতীয় চেনা পরিবেশে, চেনা সমর্থকদের মাঠে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে নেমেছিল হাবাসের দল। আক্রমণে শুরু থেকেই কামিংস ও পেত্রাতস জুটিকে রেখেছিলেন বাগান কোচ। এই ম্য়াচ জিততে হবে দুটো গোলের ব্য়বধানেই জিততে হত মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে। সেই মত ম্য়াচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বক্সে বারবার হানা দিচ্ছিলেন কামিংসরা। ওড়িশার রয় কৃষ্ণ বাগানের প্রাক্তনী। হাবাসের পুরনো ছাত্র। কোচের ট্যাকটিক্স সম্পর্কে একটা ধারণা ফিজির স্ট্রাইকারের রয়েইছে। তাই রয়কে নিয়েই সতর্ক ছিলেন বাগানের ডিফেন্ডাররা। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণর পাস থেকে ইসাক বল পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আনোয়ার আলির দক্ষতায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় বাগান শিবির।


 






দু পক্ষের একের পর এক আক্রমণের মাঝেই প্রথম গোলটি পেয়ে যায় মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। খেলার ২২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন বাহিনী। বক্সের বাইরে বাঁ দিক থেকে শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। সেই শট প্রথমবার সেভ করে নেন অমরিন্দর। কিন্তু সামনেই ছিলেন কামিংস। তিনি ফিরতি বলে গোল করেন অজি তারকা। মাঝে রয় কৃষ্ণের পাস থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওড়িশার দিয়েগো মৌরিসিয়ো। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি এই ফুটবলার। খেলা শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগে গােল করে বাগানকে ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন সামাদ।


এদিকে, জয়ের পর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে। তিনি শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন, ''আইএসএল ফাইনালে যাওয়ার জন্য মোহনবাগান ক্লাবের খেলোয়াড়, কোচ,কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকদের জানাই হার্দিক অভিনন্দন। ফাইনালের জন্য রইল আগাম শুভেচ্ছা। এ জয় শুধু মোহনবাগানের নয়, এ জয় সারা বাংলার জয়।''