কলকাতা: লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ভারত সফর সেরে ফিরে গিয়েছেন। তবে যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরে যে বেনজির বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল, যার জেরে মাঝপথেই কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল আর্জেন্তিনার ফুটবলের সুপারস্টারকে, তার রেশ এখনও চলছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। গ্রেফতার হয়েছেন মেসিকে ভারতে আনার উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও। তাঁকে জেরা করে মেসি কাণ্ডে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Continues below advertisement

গতকাল শতদ্রু দত্তকে টানা জেরা করে নতুন তথ্য পেয়েছেন সিটের তদন্তকারীরা। মেসি কাণ্ডের তদন্তকারীদের শতদ্রু বলেছেন, 'পিঠে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরা একেবারেই পছন্দ করেননি মেসি। বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি।' বারবার ঘোষণা করেও কোনও লাভ হয়নি, জেরায় জানিয়েছেন শতদ্রু, খবর সূত্রের।

সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসি-দর্শনের জন্য হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে মাঠে এসেছিলেন প্রচুর দর্শক। কিন্তু মেসিকে ঘিরে তৈরি হয় বেনজির বিশৃঙ্খলা। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রথম থেকে মেসির গায়ে আঠার মতো সেঁটে ছিলেন। মেসির কোমর ধরে ছবি তোলেন অরূপ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরিচিতির অনেককেই মেসির সঙ্গে ছবি তুলিয়ে দিয়েছিলেন অরূপ। প্রবল সমালোচনার ঝড়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ। শতদ্রুপ এবার জেরায় জানালেন যে, মেসিকে যেভাবে জড়িয়ে ধরা হয়েছিল, তা একেবারেই পছন্দ করেননি বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি।

Continues below advertisement

মাঠে মেসিকে ঘিরে এত মানুষ কোথা থেকে ঢুকে পড়েছিল, তা নিয়েও জোরাল প্রশ্ন। মেসিকে ভিড়ের জন্যই গ্যালারি থেকে ভাল মতো দেখতে পাওয়া যায়নি অভিযোগ তুলে স্টেডিয়াম ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। কী করে মেসির সঙ্গে মাঠে এত লোক ঢুকে পড়েছিলেন? 'প্রথমে ১৫০ জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড করে দেওয়া হয়। পরে প্রভাবশালীদের চাপে এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল', জেরায় দাবি করেছেন শতদ্রু, খবর সূত্রের।

সেই সঙ্গে তদন্তকারীদের শতদ্রু বলেছেন, 'ভারত সফরের জন্য লিও মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ভারত সরকারকে কর বাবদ দেওয়া হয়েছিল ১১ কোটি টাকা।' সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শতদ্রু। ১০০ কোটি টাকার মধ্য়ে ৩০ শতাংশ টাকা সংগ্রহ হয় স্পনসরদের থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকা এসেছে টিকিট বিক্রি করে, জেরায় জানিয়েছেন শতদ্রু, খবর সূত্রের।