কলকাতা: বুধবার ঘরের মাঠে মহমেডান স্পোর্টিং (Mohammedan SC vs CFC) যে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে পয়েন্ট নিয়ে বেরতে পারবে, ম্যাচের ৯০ মিনিট কেটে যাওয়ার পর অলীক কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি অতি বড় ভক্তও। 


অথচ সেই মহানাটকই মঞ্চস্থ হল ম্যাচের ৯০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর। এক নয়, রীতিমতো জোড়া গোলে পিছিয়ে ছিল সাদা-কালো শিবির। আর সংযোজিত সময়ের মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে সেই জোড়া গোল বিপক্ষ শিবিরে ফিরিয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল মহমেডান স্পোর্টিং। শেষ ৯ মিনিটের আগুনে চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে মহমেডান স্পোর্টিং ২-২ ব্যবধানে ড্র করল।


যে ম্যাচ থেকে খালি হাতে ফিরতে হতো, সেই ম্যাচ থেকেই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবলাররা। সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে যাঁর দুরন্ত ফ্রি কিক থেকে অভাবনীয় জয় ছিনিয়ে এনেছিল মহমেডান স্পোর্টিং, সেই কাসিমভই বুধবার পেনাল্টি নষ্ট করলেন। ততক্ষণে চেন্নাইয়িন ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কাসিমভ। তাঁর শট রুখে দেন চেন্নাইয়িন এফসি-র গোলকিপার নওয়াজ। যিনি লালরেমসাঙ্গা ফানাইকে ফাউল করায় রেফারি পেনাল্টি দেন মহমেডানকে।


কাসিমভ পেনাল্টি নষ্ট করতেই গ্যালারিতে হাহুতাশ। সমর্থকদের কেউই হয়তো তখন ভাবেননি যে, শেষ ৯ মিনিট কী নাটক অপেক্ষা করে রয়েছে ম্যাচে। 






চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে সরব হন ফুটবলাররা। সেই সমস্যা কি ফুটবলারদের মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল? ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে হেডে গোল করে চেন্নাইয়িনকে এগিয়ে দেন লালডিনপুইয়া। কার্যত ফাঁকায় হেড করে গোল করেন। তারপরই কাসিমভের পেনাল্টি নষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটে লুকাস পিভেট্টা ব্রামবিলা গোল করে চেন্নাইয়িনকে ২-০ এগিয়ে দেন।


 


সংযোজিত সময়ে ব্যবধান কমান পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা মনবীর সিংহ। ১-২ করেন। তিনিই ম্যাচের রং বদলে দেন। কারণ, মহমেডানের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যেও মনবীরের অবদান। তাঁর জন্যই মহমেডান পেনাল্টি পায়। রেমসাঙ্গা পেনাল্টি থেকে ২-২ করেন। 


আরও পড়ুন: ড্রেসিংরুমের খবর ফাঁস করেছেন! ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য গুরু গম্ভীরের?