কলকাতা: কিংবদন্তি জামশেদ নাসিরির (Jamshed Nassiri) ছেলে তিনি। কলকাতার ময়দানে বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই আলাচনা শুরু হয়েছিল। তিনি যে তৈরি, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ডার্বির মঞ্চেই। কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে ডার্বিতে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডও এখনও তাঁরই ঝুলিতে। মোহনবাগানের (Mohun Bagan Supergiant) জার্সিতে অভিষেকেই নজর কেড়েছিলেন। এবার সেই সবুজ মেরুন দলকেই বিদায় জানালেন ২৩ বছরের কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri)। ৩ বছরের চুক্তিতে চেন্নাই এফসিতে যোগ দিচ্ছেন জামশেদ নাসিরির ছেলে। 


মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা কিয়ানের। এরপর ক্রমাগত ভাল পারফর্ম করে সিনিয়র দলে সুযোগ পান। ২০২২ সালে আইএসএলের ডার্সিতে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে এসেছিলেন। আর নেমেই গোল করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। তখন বাগানের কোচ ছিলেন হুয়ান ফেরান্দো। স্প্যানিশ কোচের বেশ পছন্দ হয়েছিল কিয়ানকে। গোটা মাঠজুড়ে খেলতে পারেন, যা এই ২৩ বছরের তরুণের বিশেষত্ব। কিন্তু ফেরান্দো কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর হাবাস কোচ হয়ে আসেন। বাগান শিবিরে মনবীর, পেত্রাতস, বুমোস, কামিংসদের দাপটে সেভাবে সুযোগই মিলছিল না একাদশে। ১৬ ম্য়াচ খেললেও পরিবর্ত হিসেবেই বেশিরভাগ মাঠে নেমেছেন। এদিন মোহনবাগানের সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিয়ানের দল ছাড়ার বিষয়টি অফিশিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হয়। 


 






শুধু নাসিরিই নন। দল ছাড়ছেন আরেক তরুণ ফুটবলার হামতেও। উল্লেখ্য, কলকাতা ময়দানে প্রথমে ইস্টবেঙ্গলে খেলতেন হামতে। সেখান থেকেই ২০২২ সালে সবুজ মেরুন শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু একেবারেই ম্য়াচ খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না ২১ বছরের এই মিডফিল্ডার। তিনিও হয়ত এবার চেন্নাই এফসি দলেই যোগ দিতে চলেছেন। 


গত আইএসএলে ফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে ফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠ যুবভারতী স্টেডিয়ামে খেতাবি লড়াইয়ে খেলতে নেমেছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ম্য়াচে ৪৪ মিনিটের মাথায় কামিংসের গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল হাবাসের দল। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে মাঠও ছেড়েছিল সবুজ মেরুন বাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল করে ম্য়াচে বাগানের জয়ের সম্ভাবনায় পেরেক পুঁতে দেন মুম্বই সিটির ফুটবলাররা।