হায়দরাবাদ: আবারও একবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা। বেশ রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে সার্ভিসেসকে পরাজিত করে ৪৭তম বার সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ফাইনালে পৌঁছল রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বাংলা। দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্ধের এক ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে হাসতে হাসতে জয়ের পথে এগোচ্ছিল বাংলা। কিন্তু ২১ মিনেটে দুই গোল হজম করে বাংলার চাপ বাড়ে। কিন্তু শেষমেশ সঞ্জয় সেনের ছেলেরা ৪-২ গোলে সার্ভিসেসকে হারিয়ে দিল। সেমিফাইনালে বাংলার হয়ে জোড়া গোল করেন রবি হাঁসদা (Robi Hansda)। এছাড়া মনোতোষ মাঝি ও নর হরি শ্রেষ্টা বাংলার হয়ে গোল করেন।
ম্যাচে শুরুতেই বাংলা দল নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। মাত্র ১৬ মিনিটে মনোতোষ মাঝি গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন। সঞ্জয় সেনের দলের মজবুত রক্ষণে সার্ভিসেস দলে ফরোয়ার্ডরা প্রথমার্ধে তেমন কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেননি। অপরদিকে বাংলার একের পর এক ঝাঁঝাল আক্রমণে তাঁদের রক্ষণও চাপে পড়ে। শেষমেশ প্রথামর্ধ শেষ হওয়ার আগেই বাংলা স্টপেজ টাইমে জোড়া গোল করে। স্টপেজ টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে রবি ও চতুর্থ মিনিটে নর হরি গোল করে বাংলাকে ৩-০ লিড এনে দেয়।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সাত বারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসের ম্যাচে ফেরার আশা জাগে। পরিকল্পনায় সার্ভিসেস কোচের হালকা বদল ও বাংলা দলের একাগ্রতার সামান্য ত্রুটিই সম্ভবত প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ দেয়। ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামা বিকাশ থাপা সার্ভিসেসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন। ৭৪ মিনিটে জোয়েল আমেদ মজুমদারের আত্মঘাতী গোলে হাড্ডাহাড্ডি শেষ কয়েক মিনিটে পটভূমি তৈর হয়। তবে সার্ভিসেসের প্রবল চাপের মুখে কোনওক্রমে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যায় বাংলা।
শেষমেশ দলের চাপ কমান সেই রবি হাঁসদাই। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলসংগ্রাহক দ্বিতীয়ার্ধে স্টেপজ টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে নিজের ১১তম গোলটি করেন। উচ্ছ্বাসে ভাসে গোটা বাংলা ডাগ আউট। ম্যাচের সেরাও হন তিনিই। এবার দেখার ফাইনালে তিনি নিজের অনবদ্য় ফর্ম বজায় রেখে বাংলাকে ৩৩তম বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করতে পারেন কি না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: অধরা রয়ে গেল জয়ের হ্যাটট্রিক, ৯০ মিনিটে গোল হজম করে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলের