নয়াদিল্লি: গত ১৯ বছরের সাম্রাজ্যকে বিদায়। বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। একটা সোনালি অধ্যায়ের অবসান। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর শেষ হবে আগামী ৬ জুন কুয়েতের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্য়াচে যুবভারতী স্টেডিয়ামে সেদিন মাঠে নামবে ভারত। সেটিই হবে নীল জার্সিতে সুনীলের শেষ ম্য়াচ। ভারতের কিংবদন্তি ফুবলারের অবসরের ঘোষণায় সোশ্য়াল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়েছেন খেলা থেকে বিনোদন জগতের নামীদামী ব্যক্তিত্ব। সেই তালিকায় আছেন বিরাট কোহলি থেকে রণবীর সিংহ। 


কোহলি ও সুনীলের বন্ধুত্বের খবর সবারই জানা। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে আইএসএলে খেলেন সুনীল। অন্য়দিকে আরসিবির আইকন প্লেয়ার বিরাট। সুযোগ পেলেই সুনীল বিরাটের আরসিবি শিবিরে ঢুঁ মারেন সুনীল। আবার বিরাটও খেলার ফাঁকে সময় পেলেই আড্ডা দিতে চলেছেন তারকা স্ট্রইকারের সঙ্গে। বিরাট ভালবেসে সুনীলকে ক্যাপ্টেন বা স্কিপ বলেই সম্বোধন করেন। লকডাউনের সময়ও দু জনে মিলে আড্ডা দিয়েছিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যা তাঁদের সমর্থকরাও বেশ উপভোগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সুনীল অবসর ঘোষণার পরই সেই ভিডিওতে কমেন্টে বিরাট লেখেন, ''আমার ভাই, গর্বিত''। সঙ্গে একটি ভালবাসার ইমোজিও দেন কিং কোহলি। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া লেখেন, ''ক্যাপ্টেন তুমি অনুপ্রেরণা। তোমার অবদান ভারতীয় ফুটবলে কোনওদিনই মুছে যাওয়ার নয়।''


 






বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংহ নিজে ফুটবলপ্রেমী। বিভিন্ন সময়ে ফুটবলের প্রচারেও দেখা গিয়েছে বলিউডের বাজিরাওকে। গতকাল সুনীলের ভিডিও পোস্টের কমেন্টে রণবীর লেখেন, ''একটা মিশ্র অনুভূতি আমাদের জন্য। ভারতীয় ফুটবলের আইকন, কিংবদন্তি, হিরো। যিনি নিজের অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ও প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতগুলো বছর আমাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য। এত স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য। ক্যাপ্টেন, সবসময়ের জন্য তোমাকে ভালবাসি।''


২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পথ চলা শুরু। ২০২৪ সালে যুবভারতীতে যেই সফর শেষ হচ্ছে। ১৫০ ম্য়াচে ৯৪ গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের নিরিখে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির পরই তিনি। গোলের সংখ্যাটা একশো পেরক, এমনটাই চেয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু তা আর হয়ত হবে না। তাই সুনীল সমাপ্তিতে মন খারাপ দেশের ফুটবলপ্রেমীদের।