বেঙ্গালুরু: তাঁর ইনিংসটি না থাকলেও বাংলার সেমিতে যাওয়া কেউ আটকাতে পারত না। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। তাই চোট সারিয়ে রঞ্জির মঞ্চে ফিরেই নিজের প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারের ২৮ তম সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়ে ফেললেন মনোজ তিওয়ারি। আর দুরন্ত এই ইনিংসের পর মনোজ যেন আরও দৃঢ় প্রত্যয়ী। ম্য়াচের পর প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক বলেন, ''খুব ভাল লাগে যখন দল জেতে ও আমরা রঞ্জির সেমিতেও উঠে গিয়েছে। খুশিটা আরও বেড়ে যায় যখন নিজেও সেই জয়ে কিছু অবদান রাখতে পারি। আমাদের লক্ষ্যের পথে একধাপ এগােলাম। আরও রাস্তা চলা বাকি।''


এরপরই যেন কিছুটা আবেগপ্রবণ মনোজের গলা। তিনি বলেন, ''জীবনটা কখনওই সহজ নয়। সবসময় সমস্যা লেগেই থাকে। আর তার সঙ্গে লড়াই করতে হয় আমাদের। আমাকে দুটো দিক ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। যাঁরা আমাকে এটা বলে যে মন্ত্রী হওয়ার পর কেন বাংলার হয়ে খেলি, তখন খারাপ লাগে। তাঁরা হয়ত জানে না বাংলা ক্রিকেটের জন্য আমার আবেগ কতটা। যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, তখন থেকে স্বপ্ন দেখতাম যে বাংলার হয়ে খেলব। যখন সেই সুযোগ পেলাম, তখন থেকে ভাবতাম যে রঞ্জি জিততে হবে বাংলার হয়ে। যতদিন না সে সেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে, আমার লক্ষ্য ও মনোভাব একই থাকবে।''


মনোজ আরও বলেন, ''বাংলার জার্সিতে তিনবার ফাইনালে উঠেছি। প্রতিবারই রানার্স আপ হয়েছি। এবারও একই খিদে নিয়ে মাঠে নামছি। বাংলার লক্ষ্য যা করা দরকার সব করব। সবাই নিজের নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যদি আমরা এভাবেই পারফর্ম করে যেতে পারি, তবে আমাদের আটকানো কিন্তু সহজ হবে না।''


উল্লেখ্য, বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে প্রথম ৯ জন ব্যাটারই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড। সুদীপ ঘরামি ১৮৬ রান ও অনুষ্টুপ মজুমদার ১১৭ রানে আউট হন। কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি শতরানের জন্য ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ।


আরও পড়ুন: কামব্যাকেই মন্ত্রী মনোজের দুরন্ত সেঞ্চুরি, রঞ্জির শেষ চারে বাংলা