১৯৭৭-৯০ সাল পর্যন্ত মোট ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন কাদির। টেস্টে তাঁর মোট সংগৃহীত উইকেট ২৩৬। ১৯৮৩-৯৩ পর্যন্ত মোট ১০৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩২টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বিচিত্র অ্যাকশনের জন্য তাঁকে অনেকে ডাকতেন ‘ডান্সিং বোলার’ হিসাবে।
সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় এক পর্ব। সচিনের অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে। ১৯৮৯ সালে। সচিনকে বল করার আগে কাদিরের রসিকতা, ‘তুমি বাচ্চা ছেলে। আমাকে কী করে সামলাবে!’ পরে সচিন এর জবাব দিয়েছিলেন মাঠে। কাদির যা দেখে বলেছিলেন, ‘এই ছেলে বহুদূর যাবে।’ বাকিটা ইতিহাস।
শনিবার সচিন টুইট করেছেন, ‘কাদিরের বিরুদ্ধে খেলার কথা এখনও মনে পড়ে। তাঁর সময়কার অন্যতম সেরা স্পিনার। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’
কাদিরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। শোক প্রকাশ করেছে পাক ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, ‘কাদির আর নেই।’ ওয়াসিম আক্রম থেকে শুরু করে শোয়েব আখতার, মহম্মদ আমির – সকলেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর পাকিস্তানের জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হন কাদির। পরে ধারাভাষ্যকার হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।