নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলি যখন ব্যাটিং করেন, তখন তাঁর সঙ্গে কখনই অভব্যতা করা উচিত নয়। কারণ, এতে বিরাট রেগে গিয়ে আরও ভাল ব্যাট করেন। আসে একের পর এক শতরান। ২০১৪ সালে বিরাট কোহলির অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উদাহরণ টেনে এনে এমনই বিশ্লেষণ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ।
ইউটিউবে ‘কট বিহাইন্ড’ নামের একটি চ্যানেলে বিরাট নিয়ে প্রাক্তন পাক অধিনায়কের মন্তব্য, “এমন অনেক ক্রিকেটার ছিল, যাদের সঙ্গে কখনই অভব্যতা করা ঠিক হত না। যেমন আমাদের জাভেদ (মিয়াঁদাদ) ভাই, ভিভ রিচার্ডস, সুনীল গাওস্কর। আর এখন বিরাট কোহলি।”
এই প্রসঙ্গে ২০১৪ সালের ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উদাহরণও দেন রশিদ লতিফ। এই সিরিজ ঐতিহাসিক হওয়ার কারণ মূলত ২টো। এক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টেস্ট অবসর এবং অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির উত্থান। ভারত সিরিজ হেরেছিল ঠিকই (২-০)। কিন্তু অজিদের বিরুদ্ধে প্রতিআক্রমণের দৃষ্টান্তও রেখেছিল টিন ইন্ডিয়া। বিশেষ করে বিরাট। ওই সিরিজ স্মরণীয় মিচেল জনসন ও বিরাট কোহলির দ্বৈরথের জন্যও।
গোটা টেস্ট সিরিজে বিরাটের রান ছিল ৬৯২। স্টিভ স্মিথের পরেই (৭৬৯)। অ্যাডিলেডে জোড়া শতরান করেছিলেন ভারত অধিনায়ক (১১৫ ও ১৪১)। তাছাড়াও মেলবোর্ন (১৬৯) ও সিডনিতেও (১৪৭) শতরান ছিল তাঁর। রশিদ লতিফ বলেন, ওই সিরিজের একটি ম্যাচে জনসন এবং বিরাট একে অপরকে গালিগালাজ করছিলেন। ভিডিও ক্লিপ দেখলে দেখা যাবে বিরাট একবারের জন্যও ‘আত্মরক্ষামূলক’ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আগ্রাসী মেজাজেই কথা বলেছেন এবং ব্যাটও করেছেন।
এই সঙ্গেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কেসরিক উইলিয়ামসনের সঙ্গে বিরাটের দ্বৈরথের কথাও উল্লেখ করেন রশিদ লতিফ। পাক ক্রিকেটার বলেন, এমন আগ্রাসী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কখনই অভ্যবতা করা ঠিক নয়।
বিরাট কোহলি এখনও পর্যন্ত ৮৬টি টেস্ট, ২৪৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ৮২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ৭ হাজার ২৪০, ১১ হাজার ৮৬৭ ও ২ হাজার ৭৯৪ রান।