নয়া দিল্লি: বিশ্বের ১ নম্বর তথা শীর্ষবাছাই কার্লোস আলকারাজকে (Carlos Alcaraz) হারিয়ে ফরাসি ওপেনের (French Open) ফাইনালে পৌঁছে গেলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic )। সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাব জয়ের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন জকোভিচ। 


আলকারাজের বিরুদ্ধে প্রথম সেটটি ৬-৩ ব্যবধানে জেতেন জকোভিচ। যদিও পরের সেটটি ৭-৫ ব্যবধানে জিতে সমতা ফেরান আলকারাজ। কিন্তু তৃতীয় সেটে তাঁকে ক্র্যাম্পের সমস্যা ভোগাতে থাকে। দ্বিতীয় গেমের পরেই তিনি চিকিৎসকদের ডাকেন। এরপর পুরো ম্যাচ খেলেই কোর্ট ছাড়লেন বটে, কিন্তু বাকি দুই সেটে কার্যত অসহায় দেখাল শীর্ষবাছাই আলকারাজকে। 


এই জয়ের ফলে ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে গেলেন জকোভিচ। 






সেমিফাইনালে শীর্ষবাছাইকে হারিয়ে ৬-৩, ৫-৭, ৬-১, ৬-১ গেমে জোকার। অনুরাগীরা ভেবেছিলেন হয়ত নতুন প্রজন্মের হাতে উঠতে পারে ফরাসি ওপেনের ট্রফি। তবে ক্লে কোর্টে জকোভিচ যেন চিরকালীন। আলকারাজের ভাল কোর্ট কভারেজ, শট-কে হেলায় হারালেন তিনি। বিশ্বের বর্তমান ১ নম্বর আলকারেজের 'পাওয়ার' হল ড্রপ শট। ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনাল অবধি এই শটেই বিপক্ষকে জব্দ করে চলেছিলেন তিনি। তবে অভিজ্ঞ নোভাকের কাছে সেই 'পাওয়ার' বুমেরাং হল আলকারাজের জন্য। প্রতিপক্ষের ছন্দ নষ্ট করতে ড্রপ শট দিয়েই ম্যাচ বের করলেন নোভাক। 


তবে আলকারেজ অনুরাগীদের বক্তব্য, ক্র্যাম্পের সমস্যা না ভোগালে হয়ত বিপাকে পড়তে হত জকোভিচকে। প্রতিটি পয়েন্টের জন্যে আলকারাজ কোর্ট জুড়েই ছোটাছুটি করেন। ড্রপ শট এবং নেট পয়েন্টের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েও ছিলেন আলকারাজ। কিন্তু ক্র্যাম্পের সমস্যাই শেষ করল ম্যাচ। নিক কির্গিয়স, অ্যান্ডি রডিক-সহ অনেকেই আলকারাজের প্রতি সহমর্মিতা জানান।                                                       


ম্যাচ শেষে জকোভিচও পিঠে হাত দিয়ে আলকারাজকে সান্ত্বনা দেন। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে সপ্তমবার ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠলেন জকোভিচ। ২০১৬ ও ২০২১ সালের পর তৃতীয়বার ফরাসি ওপেন খেতাব জয়ের হাতছানি জকোভিচের সামনে।


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'