অযোধ্যা: রামমন্দিরে (Ram Temple) প্রাণপ্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসেবর আবহ গোটা দেশজুড়ে। আর সেই উন্মাদনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারলেন না ক্রীড়া জগতের নক্ষত্ররাও। সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) থেকে শুরু করে সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal), মিতালি রাজ, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন খেলার মাঠের তারকারাও।
কারা নেই সেই তালিকায়? কিংবদন্তি অ্যাথলিট তথা ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রধান পি টি ঊষা, মিতালি, সচিন, সাইনা, অনিল কুম্বলে - সকলেই হাজির ছিলেন।
গোটা অনুষ্ঠান ঘিরে রোমাঞ্চিত সাইনা। অলিম্পিক্সে পজকজয়ী শাটলার বলেছেন, 'আমাদের সকলের কাছে এটা বড় দিন। আমি সৌভাগ্যবান যে, এখানে হাজির থাকার সুযোগ পেয়েছি। প্রভু রামের দর্শন করব আজ। নিজের আনন্দ ব্যক্ত করার ভাষা নেই।'
মিতালি বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এটাই চেয়ে এসেছি। এটা একটা সেলিব্রেশন আর আমরা সকলে সেই সেলিব্রেশনের অংশ হতে পেরেছি বলে ভাগ্যবান।'
অনিল কুম্বলে বলেছেন, 'বিরাট মুহূর্ত। ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি অনেক সৌভাগ্য করে এই দিনটিতে থাকতে পেরেছি। রাম লালার থেকে আশীর্বাদ নেব।'
পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই অযোধ্যা রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পুজো। তারপরেই সামনে এল রামলালা অনিন্দ্যসুন্দর মূর্তি। কৃষ্ণপাথরে তৈরি রামলালা মূর্তি সেজেছে ফুল ও অলঙ্কারে। কপালে তিলক।
রামলালার (Ram Lalla Pran Pratishtha) প্রথম যে ছবি সামনে এসেছিল সেটা নিরাভরণ ছিল। পুজোর সময় সাজানো হয়েছে রামলালার মূর্তিকে। বেদির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন রামলালা। মুখে তাঁর স্মিত হাসি। কপালে তিলক, হাতে তির-ধনুক।
এই রামলালার মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা, চওড়া ৩ ফুট। ওজন প্রায় ২০০ কেজি। ভগবান রামকে দাঁড়িয়ে থাকা ভঙ্গিতে পাঁচ বছরের শিশু হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কালো পাথরের তৈরি এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন মহীশূরের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। মূর্তির চালচিত্রে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার--মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও কল্কি। মূর্তির একদিকে হনুমান ও অপর দিকে গরুড়। শুধু তাই নয়, মূর্তির যে মুকুট রয়েছে তাতে সূর্য, শঙ্খ, স্বস্তিক, চক্র ও গদা রাখা হয়েছে। মূর্তির প্রধান বিশেষত্ব হল, একটি কৃষ্ণশিলা দিয়েই এটি গড়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাম মন্দিরের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ তিনটি মূর্তি তৈরির বরাত দিয়েছিল। মূর্তি তৈরির জন্য নেপাল থেকে শালগ্রাম শিলা আনা হয়েছিল। কিন্তু তা মূর্তি তৈরির কাজে লাগেনি। কারণ, খোদাইয়ের সময় বারবার সেই পাথর ভেঙে যাচ্ছিল। পরে ঠিক হয় কালো পাথরের মূর্তি তৈরি হবে। রাম মন্দিরে রাখার জন্য ৩টি মূর্তির মধ্যে থেকে এটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বাকি দু'টি বিগ্রহ মন্দিরের অন্যত্র স্থান পেয়েছে। যে বেদিতে রামলালা থাকবেন, সেটি ৩.৪ ফুট উঁচু। তৈরি মাকরানা পাথর দিয়ে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্টের জন্য সর্বস্ব নিংড়ে দেব, শপথ সুরেশের, শেষ ষোলোয় ওঠা সম্ভব?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে