করাচি: আগামীকাল পাকিস্তানের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের সুবর্ণ সুযোগ আসছে বলে মনে করেন ইমরান খান। সামা টিভি-কে ১৯৯২-এর বিশ্বকাপ মুকুটজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক কালকের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারত-পাক মহারণের প্রাক্কালে বলেছেন, ভারতের কাছে যেভাবে প্রথম ম্যাচে গোহারা হেরেছি আমরা, তাতে ফাইনালে সম্মান ফিরে পাওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছে বলে মনে হয়। যেভাবে ওই ম্যাচে আমরা পর্যুদস্ত হয়েছি, সেটা সত্যিই লজ্জার। কিন্তু এখন আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। ওই ম্যাচের ভুল থেকে পাক টিমকে শিক্ষা নিতে বলেছেন পাকিস্তানের সেরা অধিনায়কের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার।


ফাইনালে টসে জিতলে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে না পাঠানোর পরামর্শও তিনি দিচ্ছেন পাক ক্যাপ্টেন সরফরাজ আহমেদকে।

ইমরান বলেছেন, ভারতের দারুণ ব্যাটিং লাইন আপ। ওরা বিশাল রানের ইনিংস খাড়া করে দিলে চাপে পড়ে যাব আমরা। অন্য টিমগুলির বিরুদ্ধে সরফরাজের আগে ফিল্ডিং করার কৌশল দারুণ সফল হয়েছে। স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোয় বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখছে, পাশাপাশি চমত্কার বল করছে হাসান আলি। কিন্তু ফাইনালে বিপক্ষ যখন ভারত, তখন পাকিস্তানের উচিত আগে ব্যাটিং নেওয়া। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটসম্যানরা বড় রান তুলে দিলে আমরা দ্বিগুণ চাপে পড়ব। বোলাররা তো চাপে পড়বেই, উপরন্তু স্কোরবোর্ডে রান রেট ধরে রাখার চাপ থাকবে ব্যাটসম্যানদের ওপর। বোলিংই আমাদের আসল শক্তি। টসে জিতলে প্রথম ব্যাট করতে হবে আমাদের। বোলিংয়ের মতো ততটা ভাল নয় আমাদের ব্যাটিং।

সরফরাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইমরান। তাঁকে 'সাহসী অধিনায়ক' বলেছেন।

আরেক প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা জাভেদ মিঁয়াদাদের আশা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল থেকেই ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ ফের চালু হওয়ার রাস্তা খুলে যাবে। প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, রাজনীতি সরিয়ে আরও বেশি ক্রিকেট খেলা উচিত। দুদেশের মধ্যে আবার ক্রিকেট চালু হোক, চাই। মিয়াদাঁদ যদিও কাল কাউকেই ফেভারিট ধরতে চাইছেন না। দু দলেরই ফিফটি-ফিফটি চান্স রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।