হরভজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, চ্যাপেল এসেই পুরো দলটাকেই কেমন তছনছ করে দিলেন। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এসেছিলেন, জানি না। একটা দারুণ দলকে কীভাবে ধ্বংস করে দিতে হয়, তাঁর থেকে ভালো কেউ জানে না। ভগবানই জানেন, তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল। গোটা প্রেসও তিনি যেমন চাইতেন, তেমনই লিখত। যা মনে হত, তাই করতেন তিনি।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যাট শো-তে এ কথা বলেছেন হরভজন।
এই অফ স্পিনার বলেছেন, ২০০৭-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। আমি ভেবেছিলাম, আমরা এমন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে ছিলাম, যা ভারতীয় দলে খেলার উপযুক্ত নয়। আমার মনে হয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্বে সঠিক লোকজন নেই। মনে হয়েছিল, এই লোকগুলো ভারতীয় ক্রিকেটকে ধ্বংস করতে এসেছে। গ্রেগ চ্যাপেল কে ? কেন তিনি এ সব করছেন? তিনি সবাইকে বিভক্ত করে রাশ হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। তাঁর অভিসন্ধি কী ছিল, আমি জানি না।
৩৯ বছরের ক্রিকেটার বলেছেন, যে দলটা ২০০৭-এর বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল, সেই দলে প্রচুর ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু খেলোয়াড়রা কাঙ্খিত পারফর্ম করতে পারেননি। কারণ, কারুরই মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। কেউ একে অপরকে বিশ্বাস করত না। দল সুখী না হলে তার ফলাফলও আশানুরূপ হয় না। এটাই হয়েছিল। ভালো দল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যেতে হয়েছিল। যে দুটি দলের কাছে হেরেছিলাম, তারা বড় দল নয়। সে বছর শ্রীলঙ্কা ফাইনালে গেলেও আমার এখনও মনে হয়, ভারতীয় দল তাদের তূল্যমূল্য ছিল।
একইসঙ্গে ওই বছরই টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ের ঘটনার প্রসঙ্গও জানিয়েছেন হরভজন। তিনি বলেছেন, একেবারে আনকোরাদের নিয়ে দল গড়ার পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় দল। কারণ, গ্রেগের বিদায়ে ড্রেসিংরুমের দমবন্ধ পরিবেশ কেটে গিয়েছিল, মুক্ত বাতাস বইছিল। ওই সময় লালচাঁদ রাজপুত, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও রবিন সিংহর মতো ভারতীয় কোচেরা দারুণ কাজ করেছিলেন। দল আবার জয়ের পথে ফেরে।