আবু ধাবি: এশিয়া কাপে ফের অঘটন। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ টাই হওয়ার পর দিনই শেষ সুপার ফোর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করে শোয়েব মালিকদের তারা হারাল ৩৭ রানে। শুক্রবার দুবাইতে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মুশফিকুর ও মহম্মদ মিঠুন। মুশফিকুরের ৯৯ ছিল তাঁর ৩৭ তম অর্ধশতরান, মিঠুন করেন ৬০। তাঁদের দুজনের কাঁধে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৩৯। কিন্তু মিঠুনের সঙ্গে ১৩৯ রানের ইনিংস খেললেও ১ রানের জন্য মুশফিকুর মিস করেন তাঁর সপ্তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। অসাধারণ বল করেন পাকিস্তানের জুনেদ খান। ১৯ রানে তিনি তুলে নেন ৪টি উইকেট, পরপর ওভারে তুলে নেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে। ভাল বল করেন শাহিন আফ্রিদি ও হাসান আলিও। তাঁরা পান দুটি করে উইকেট। সাদাব খান পান ১টি উইকেট।

বাংলাদেশের মতই পাকিস্তানের ব্যাটিংও শুরুতেই ধাক্কা খায়। মাত্র ৩.৩ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। কিন্তু হাল ছাড়েননি ওপেনার ইমাম উল হক। এক দিক ধরে থেকে তিনি করেন ৮৩ রান, যদিও অন্যদিকে ব্যাটসম্যানদের পতন রুখতে না পারায় ৯ উইকেট খুইয়ে ২০২ রানেই আটকে যায় পাক ব্যাটিং। ইমামকে কিছুটা সাহায্য করেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলি। শোয়েব করেন ৩০ ও আসিফ ৩১। টতুর্থ উইকেটে শোয়েবের সঙ্গে ৬৭ রান যোগ করেন ইমাম, তারপর আসিফের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৭১ রান। কিন্তু প্রথমেই ফকর জামান, বাবর আজম ও অধিনায়ক সফরাজ আহমেদের উইকেট পড়ে যাওয়ায় তারা লড়াই চালাতে পারেনি বেশিক্ষণ।

বাংলাদেশের বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানে পান ৪ উইকেট ও অফ স্পিনার মেহিদি হাসান ২৮ রানে ২ উইকেট। কিন্তু তখনও পাকিস্তানকে টানছিলেন ইমাম ও শোয়েব। কিন্তু ২১ তম ওভাবে বাংলাদেশি অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা রুবেল হোসেনের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ নিয়ে শোয়েব মালিককে তুলে নেওয়ায় ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরে যায় বাংলাদেশের দিকে।