আমদাবাদ: দুরন্ত সেঞ্চুরি, শুভমনের ব্যাটিং তাণ্ডবে আইপিল প্লে অফের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোর বোর্ডে তুলল গুজরাত (Gujrat Titans)। ২০১৪ সালে সিএসকের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) বোর্ডে ২২৬/৬ বোর্ডে তুলেছিল প্লে অফে। যা এতদিন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের এই ফেসে এসে সর্বাধিক স্কোর ছিল যে কোনও দলের করা। আজ সেই রানকে টেক্কা দিয়ে বোর্ডে ২৩৩/৩ তুলে ফেলল গুজরাত টাইটান্স। মুম্বইকে জিততে হলে ২৩৪ রান করতে হবে। ৬০ বলে ১২৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন শুভমন গিল। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এদিন আমদাবাদে বৃষ্টির জন্য আউটফিল্ড ভেজা থাকায় টস শুরু হতে কিছুক্ষণ দেরি হয়। নির্ধারিত সময় সন্ধে ৭টার পরিবর্তে ৭.৪৫-এ টস হয়। এরপর ৮টার সময় খেলা শুরু হয়েছিল। গুজরাতের জার্সিতে এবার আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন শুভমন গিল। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত দুটো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে ভাল শুরু করেও ফিরে যেতে হয়েছিল ৪২ রান করেই। অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষে ওঠার থেকে মাত্র ৯ রান দূরে ছিলেন। এদিন আর মুম্বই বোলারদের কোনও সুযোগ দিলেন না। শুরু থেকেই চেনা মেজাজে ব্য়াটিং। ঋদ্ধিমান সাহা ১৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর সাই সুদর্শনকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াটিং শুরু করেন গিল। আগের ম্যাচে মুম্বইয়ের নায়ক আকাশ মাধওয়ালকে এদিন এক ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্য়াটার। নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা হাঁকান গিল। যখন আউট হলেন তখন নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৬০ বলে ১২৯ রান। সাই সুদর্শন ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেললেন ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। 


মুম্বই বোলারদের মধ্যে আকাশ মাধওয়াল এদিন ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করেন। ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১ উইকেট নিয়েছেন পীযূষ চাওলা। 


এদিকে, বিধ্বংসী ইনিংস খেলে উঠে শুভমন জানালেন, কী প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁর। এমনই অবস্থা হয়েছিল যে, চোখই খুলতে পারছিলেন না গুজরাত টাইটান্সের তারকা ওপেনার।


গুজরাতের ইনিংসের শেষে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে শুভমন বলেছেন, 'আমি যখন ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম, জানতামই না যে অরেঞ্জ ক্যাপ পেয়েছি। আমাদের রান ভাল হয়েছে। আশা করছি এই রানের পুঁজি রক্ষা করে ম্যাচ জিততে পারব।' তারপরই শুভমন বলেন, 'আমার চোখে প্রচুর ঘাম ঢুকেছিল। জ্বালা করছিল। চোখ মেলে তাকাতে পারছিলাম না।'


শুভমন আরও বলেছেন, 'আমরা হারলে সেরা ক্রিকেটটা খেলি। সেটাই হয়েছে। চেনা মাঠে আমাদের অবশ্যই সুবিধা হয়েছে। মাঠের কোন দিকে বড় শটের জন্য নিশানা করব, জানতাম। নতুন বল একটু থমকে আসছিল। উইকেটে ঘাস নেই। পরে বল ভালভাবে ব্যাটে আসতে শুরু করে।'