প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বাঁশের ব্রিজ ভেঙে চূর্ণী নদীতে পড়ল যাত্রী বোঝাই বোলেরো গাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস এলাকায়।


কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা ?


জানা গিয়েছে, তিন মদ্যপ ব্যক্তি শিবনিবাস মন্দির থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার জন্য কংক্রিটের ব্রিজ থাকলেও ওই নড়বড়ে বাঁশের ব্রিজ দিয়ে পারাপার করার চেষ্টা করেন তাঁরা বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় ঘাট মালিক তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তাঁর কথা না শুনে ওই ব্রীজ দিয়েই পাড় হওয়ার চেষ্টা করে। নদীর মাঝখানে যেতেই হুড়মুড়িয়ে ব্রিজ ভেঙে চূর্ণী নদীতে পড়ে যায় যাত্রী-সহ গাড়িটি। মুহুর্তেই গাড়িটি চূর্ণী নদীর জলে তলিয়ে যায়।স্থানীয়দের তৎপরতায় গাড়ির মধ্যে থাকা তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।  ওই তিন ব্যক্তিকে জেরা শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে তারা এই ব্রীজ পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তা জানারও চেষ্টা করছে পুলিশ। 


গতবছর জলস্রোতে ভেসে গিয়েছিল বিশাল ট্রাক


প্রসঙ্গত, গতবছর সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির জলের তোড়ে হঠাৎ করেই হড়পা বান দেখা দিয়েছিল মালবাজারের (Malbazar) মাল নদীতে। তাতে আটকে পড়েছিল বিশাল ট্রাক (Truck)। তীব্র জলস্রোতে ভেসে গিয়েছিল বলে পরে জানা গিয়েছিল। কপাল জোরে রক্ষা পেয়েছিল সেবার ট্রাকের ড্রাইভার শিপেন রায় এবং খালাসী। মূলত, গাড়ি পরিষ্কার করার জন্য মূল নদীর পাশের অংশে ট্রাক নামিয়ে ধোয়ার কাজ চলছিল। হঠাৎ করে জল বেড়ে যাওয়ায় বাকিরা তীরে উঠে আসতে পারলেও আটকে পড়েন ট্রাকের ড্রাইভার এবং খালাসী। এরপর জলের স্রোত ক্রমশ বাড়তে শুরু করছিল। প্রথম দিকে ট্রাকের মাঝামাঝি পর্যন্ত জল থাকলেও কিছু সময় পরই সেই জল উঠে আসে গাড়ির কাচ পর্যন্ত।



আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


উদ্ধারকার্যে আনা হয়েছিল ক্রেন


পরবর্তীতে জেসিবির সাহায্যে দড়ি দিয়ে উদ্ধার করা হয় ট্রাকের মধ্যে আটকে পড়া দুই কর্মীকে। প্রাথমিক পর্যায়ে আবহাওয়া সাধারণ থাকলেও কিছুক্ষণ পরেই সেবার মালবাজারে শুরু হয়েছিল মুষলধারে বৃষ্টি। এই কারণে উদ্ধারকার্য বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল। জলের স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে ঠিক যেই জায়গায় ট্রাকটি ছিল তার থেকে প্রায় ৭০ মিটার দূরে এসে একটি বড় পাথরে আটকে পড়েছিল ট্রাকটি। এরপর ট্রাক উদ্ধারে নিয়ে আসা হয়েছিল বিশালাকার ক্রেন।