দোহা: প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মরক্কো (Morocco Football Team)। সেই মরক্কো দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হাকিম জিয়েখ (Hakim Ziyech)। দলের তারকা ফরোয়ার্ডের পায়ে গোলমুখী পাস বাড়ানোর দক্ষতা থেকে বিশ্বমানের গোল করার কৃতিত্ব সবই আছে। চলতি বিশ্বকাপে ভাল ফর্মেও রয়েছেন তিনি। অবশ্য জিয়েখের ফুটবল দক্ষতার বিষয়ে ফুটবলপ্রেমীরা অবগত হলেও, তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে কিন্তু খুব কম লোকই অবগত। খবর অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে দেশের হয়ে খেলার এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি জিয়েখ।
জিয়েখের পারিশ্রমিক
মরক্কোর এক বিখ্যাত সাংবাদিক খালিদ বেদৌন সম্প্রতি গোটা বিষয়টা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান জিয়েখ নিজের পারিশ্রমিক দলের সাপোর্ট স্টাফ এবং গরীবদের মধ্য়েই বিলিয়ে দেন। জিয়েখ বিগত সাত বছর ধরেই মরক্কো হয়ে খেলছেন। জিয়েখের জন্ম নেদারল্যান্ডসে। তিনি নেদারল্যান্ডসের অনুর্ধ্ব ১৯ থেকে অনুর্ধ্ব ২১ দলের হয়ে খেলেছেন। তবে শেষমেশ তাঁর বাবা মায়ের দেশ মরক্কোর জাতীয় দলের হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন জিয়েখ। অ্যাটলাস লায়ান্সের হয়ে জিয়েখ এখনও পর্যন্ত ৪৭ ম্যাচে ১৯টি গোল করেছেন। প্রসঙ্গত, এ বছর জানুয়ারিতেই তৎকালীন কোচের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন জিয়েখ। তবে সেই কোচের অপসারণের পর ফের বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ক্ষুব্ধ পেপে
মরক্কোর জয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, পেপেদের (Pepe)। ম্যাচের পরে নিজের একরাশ হতাশা ও ক্ষোভ উগরে দিলেন পেপে। মরক্কো-পর্তুগাল ম্যাচের দায়িত্ব এক আর্জেন্তাইন রেফারিকে দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ পেপে। তাঁর মতে আর্জেন্তাইন রেফারি ফাকুন্দো টেলোকে এই ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি।
ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ পেপে বলেন, 'কালকে মেসি মুখে খুলেছিলেন এবং তারপরেই আজ ম্যাচের দায়িত্ব পান এক আর্জেন্তাইন রেফারি। এক আর্জেন্তিনার রেফারিকে এই ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়াটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্বিতীয়ার্ধে তো কিছুই (ফাউল) দেওয়া হয়নি এবং মাত্র আট মিনিট স্টপেজ দেওয়া হয়। আট মিনিটের বেশিরভাগ সময় তো খেলাই হয়নি। আমাদের দলে ম্যাচ জেতার যথেষ্ট দক্ষতা আছে। তবে আমরা দুর্ভাগ্যবশত এই ম্যাচ জিততে পারলাম না।' পেপে নিজের কথার মাধ্যমে সরাসরি না হলেও, মেসি-রোনাল্ডোর যে চিরাচরিত ফুটবল যুদ্ধ সেইদিকে ইঙ্গিত করেই আর্জেন্তাইন রেফারিকে ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: