কলকাতা: ঐতিহাসিক ডার্বি। যুবভারতী সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছিল যুবভারতীর থেকে। বাঙালির আবেগের লড়াই। আগের ৮ বার টানা ইস্ট-মোহন দ্বৈরথে শেষ হাসি হেসেছিল সবুজ মেরুন বাহিনীই। এবার ৯-এ নয় করার পালা তাঁদের। অন্যদিকে নতুন কোচের অধীনে, নতুন উদ্য়মে এবার লড়াইয়ে নেমেছে ইস্টবঙ্গল। খেলার প্রথমার্ধে তার ছাপও ধরা পড়ল। 


এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ২ দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে। এদিন সকালে ক্লেটন সিলভা শহরে পৌঁছে গেলেও তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে। কুয়াদ্রাত দল সাজিয়েছিলেন নন্দকুমার, সিভেরিও ও মাহেশকে আক্রমণভাগে রেখে। খেলার শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে উইং ধরে বক্সে ঢোকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা সিভেরিওর। দুর্দান্ত ট্য়াকেল অনিরুদ্ধ থাপার। ৪২ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। খাবরার শট নিলেও তা গোলমুখে পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করে দিলেন বাগান ডিফেন্ডাররা। ৪৫ মিনিটের মাথায় সিভেরিওকে লক্ষ্য করে ডান দিক থেকে লো ক্রস নন্দার। বিপন্মুক্ত করলেন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কায়েথ। ৪ মিনিট ইনজুরি টাইমের ঘোষণা রেফারির। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে বুমোসের ফ্রি কিক দুর্দান্তভাবে সেভ করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল।


ফুটবলের প্রতি বাঙালির প্রেম যতটা গভীর, ভিকিরও ঠিক তাই। এই মরশুমের প্রথম ডার্বিতে সেনাবাহিনী আয়োজিত 'ডুরান্ড কাপ'-এ মুখোমুখি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছেন ভিকি কৌশল। 


শুরু হয়ে গিয়েছে ডার্বি এবং কথামতো সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছেন অভিনেতা। কালো ব্লেজার, প্যান্টে চোখ ধাঁধানো সাজ। ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তুললেন ছবি। পাশে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। 






শনিবার বিকেলে সারা শহরের সব পথ গিয়ে মিশছে একই গন্তব্যে, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়াম। বেজে উঠছে একশো বছরেরও বেশি বয়সি ফুটবল যুদ্ধের দামামা। যাকে কেউ বলে ডার্বি, কেউ বলে বড় ম্যাচ। তবে এটিই যে জনপ্রিয়তায় ও ঐতিহ্যে এশিয়ার সেরা ফুটবল ডার্বি, এই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।