নয়াদিল্লি: বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ছাড়াও বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষকদের মধ্যে একজন হিসেবে গন্য করা হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। ২০০৭-র বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ১০৪ বলে ১৪৯ রানের ইনিংস বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৬ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৪৭.০৬ গড়ে তাঁৎ মোট রান ৫,৫৭০। ২৮৭ একদিনের ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৩৫.৯ গড়ে ৯,৬১৯ রান।

তবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের পরিসংখ্যানে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রায়ই হয় না। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন তিনি। সেটিই টি ২০ ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ও একমাত্র উইকেট। ২০১৩-র আইপিএলে টুর্নামেন্ট থেকে ততদিন প্রায় ছিটকে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার।  ওই ম্যাচই ছিল গিলক্রিস্টের শেষ আইপিএল ম্যাচ। শেষ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫১ রানের। গিলক্রিস্ট নিজেই ওই ওভারে হাত ঘোরানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সবাইকে তাজ্জব করে প্রথম বলেই তুলে নিয়েছিলেন হরভজন সিংহকে।

ইউটিউবে একটি শো-তে সেই ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন হরভজন।  উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, টি ২০ ক্রিকেটে প্রথম বল করেই কোন বোলার তোমাকে আউট করেছিল?

জবাবে হরভজন বলেন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ও বল করতে আসে। আমি ওর বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে গিয়েছিলাম। মাঠের মাপ দেখে মনে হয়েছিল যে, আমি প্রত্যেকটা বলই মাঠের বাইরে পাঠাতে পারব। কিন্চু তা হল না। প্রথম বলেই ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিলাম। এর থেকে অস্বস্তিকর আর কিছু হয় না। আর আমি এমন এক বোলারের বলে আউট হলাম, যে হয়ত কখনও নেটেও বল করেনি। কিন্তু এতে আমি খুশি হয়েছিলাম। টেস্ট ক্রিকেটে ওকে অনেকবার আউট করেছি। তখন ভাবলাম, ঠিকই আছে, তুমিও খুশি হবে।

ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই অফস্পিনার বলেছেন, আমি টেস্টে ওকে ১১ বার আউট করেছি। আর ওই একবার আউট করে সেই ১১ বারের উচ্ছ্বাস ও একবারেই ও পালন করেছিল। ও গ্যাংনাম ডান্সও করেছিল, ডিগবাজি খেলেছিল। ও ওর ১১ বার আউট হওয়ার ঘটনা ওর মনে পড়ে যাচ্ছিল, আর আমাকে একবার আউট করে ইচ্ছেখুশি মতো উচ্ছ্বাসে মেতেছিল।

ম্যাচের পর গিলক্রিস্ট বলেছিলেন, হরভজন আমাকে বহুবারই আউট করেছে। আমি ওর প্রতিক্রিয়ার নকল করার চেষ্টা করেছিলাম। আর তা দর্শকদের নজর কেড়েছে।