কলকাতা: ছিলেন সাধারণ ঘরের মেয়ে। তারপর মুদির দোকানির বৌ, দুই মেয়ের মা। সেখান থেকে এক লাফে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারের অর্ধাঙ্গিনী। হাসিন জাহানের জীবনের গল্প সুপারহিট সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।


হাসিনরা ৩ বোন। বড় বোন থাকেন দিল্লিতে, ছোট বোন বীরভূমে। বাবা পরিবহন সংক্রান্ত কাজকর্ম করেন। পড়াশোনায় সাধারণ মানের ছাত্রী ছিলেন হাসিন জাহান। খেলাধুলোয় আগ্রহ ছিল, জেলা স্তরে কিছু পুরস্কারও পেয়েছিলেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইতেন। তাঁর বাবার দাবি, ছোটবেলা থেকে মেয়ে অন্যায় সহ্য করতেন না।

জীবনে বড় কিছু করতে চাইতেন হাসিন জাহান। ২০০২-এ বিয়ে করেন শেখ সৈফুদ্দিন নামে এক মুদির দোকানিকে। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় সৈফুদ্দিনের প্রেমে পড়েন তিনি। তারপর বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে।

২০০৩-এ এই দম্পতির বড় মেয়ে জন্মায়। ৩ বছর পর ছোট মেয়ে। তখন থেকে মনোমালিন্যের শুরু। ২০১০-এ হয়ে যায় তালাক। তাঁদের বড় মেয়ে এখন পড়ে দশম শ্রেণিতে, ছোট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। দুজনেই থাকে বাবার সঙ্গে।

সৈফুদ্দিন এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, হাসিন কেন তাঁকে ছেড়ে চলে যান তাঁর কাছে পরিষ্কার নয়। তবে সপ্তাহে বার দু’তিন ফোন করে দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন হাসিন জাহান। তখনও মহম্মদ সামির সঙ্গে পরিচয় হয়নি তাঁর। ২০১৪-র আইপিএলে চিয়ারলিডার ছিলেন তিনি। সে সময় আলাপ সামির সঙ্গে, সেখান থেকে প্রেম। তখন থেকেই কলকাতায় থাকতে শুরু করেন হাসিন। সে বছরই বিয়ে করে নেন সামিকে। তাঁদের ৩ বছরের একটি কন্যাও রয়েছে।