নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছেন ক্রীড়া জগতের তারকারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেটাররাও। আর এরইমধ্যে অতি সংক্রামক এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০০৭-এর টি ২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক যোগীন্দর শর্মার ভূমিকা সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। ২০০৭-এর টি ২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে বোলিং করে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন যোগীন্দর।
যোগীন্দর এখন অন্য ময়দানে লড়াই করছেন। খেলা ছাড়ার পর তিনি হরিয়ানা পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ দেন। করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায় যোগীন্দরের দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। তিনি এখন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে। সম্প্রতি তাঁর কর্তব্য পালনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তাঁর এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছিল আইসিসি। ট্যুইটে তাঁকে ‘আসল বিশ্বনায়ক’ হিসেবে মন্তব্য করা হয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ।
এরপর থেকে আরও কিছুদিন কেটে গিয়েছে। হিসার জেলার ডিএসপি-র কাঁধে এখন গুরুদায়িত্ব যাতে লকডাউনের সময় মানুষ বাড়িতেই থাকেন, তা নিশ্চিত করা। যোগীন্দর বলেছেন, নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বসময় সতর্ক ও কাজের মধ্যে থাকতে হয়। যোগীন্দর বলেছেন, এখন সকাল ছয়টায় আমার দিন শুরু হয়। আজ সকাল ছয়টায় দিন শুরু করেছি, এখন বাড়ি ফিরেছি (রাত ৮ টা)। কিন্তু জরুরি পরিষেবার জন্য আমাকে প্রস্তুত থাকতে হয়। তাই ২৪ ঘন্টাই তৈরি থাকি। এ ব্যাপারে ‘না’ বলার কোনও জায়গা নেই।
যোগীন্দর জানিয়েছেন, আমাকে হিসারের গ্রামীন এলাকা দেখতে হয়। তিনি বলেছেন, এখন একটা সাধারণ জরুরি বার্তা হল, কেউ যেন বাড়ির বাইরে পা না রাখেন। উপযুক্ত প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে বেরোলে আইন অনুযায়ী সাজা হতে পারে।
সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট কেরিয়ারে ভারতের হয়ে চারটি করে একদিনের ম্যাচ ও টি-২০ খেলেন ডানহাতি মিডিয়ামে পেসার যোগীন্দর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারটির জন্যই তাঁকে মনে রেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ফাইনালের শেষ ওভারে বল তুলে দেন যোগীন্দরের হাতে। সেই আস্থার মর্যাদা দিয়ে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে মিসবা-উল-হককে আউট করে ভারতকে জয় এনে দেন।