মুম্বই: তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত অভিযোগ করেছিলেন, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত রাহুল দ্রাবিড় ইন্ডিয়া সিমেন্টসের পদস্থ কর্তাও। যে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের কর্ণধার নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন এবং আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের মালিকানা যে সংস্থার হাতে।


বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন জানিয়ে দিলেন, দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনি রায় জানিয়ে দেবেন। সংবাদসংস্থাকে জৈন বলেছেন, ‘শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই রায় জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এর আগে দ্রাবিড় নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় বলেছিলেন যে, ইন্ডিয়া সিমেন্টস থেকে তিনি ছুটি নিয়েছেন এবং চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউই একসঙ্গে একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ উঠেছিল, তখন বোর্ডের ক্ষমতায় ছিল বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বাধীন প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)। তারপর অবশ্য ২৩ অক্টোবর বোর্ডের মসনদে এসেছে প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি।

ঘটনা হচ্ছে, সিওএ-ই স্বার্থ সংঘাত নিয়ে অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশ করেছিল। আশা করা গিয়েছিল যে, অবস্থান পাল্টালে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা আরও বেশি করে খেলাটার উন্নয়নে যুক্ত হবেন। সৌরভও দায়িত্বে এসে জানিয়েছিলেন যে, স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হবে।

দ্রাবিড় ছাড়াও সৌরভ, সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অতীতে স্বার্থের সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল।