সেঞ্চুরিয়ন: মাঠে আক্রমণাত্মক মনোভাবের জন্যই পরিচিত। তাঁর শরীরী ভাষায় ফুটে ওঠে সেই আগ্রাসন। কেপটাউনে প্রথম টেস্টেই সেই আগ্রাসনের কিছুটা ঝলক দেখা গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস আউট হওয়ার পর অভিনব ভঙ্গিতে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন কোহলি। আসলে কোহলি ফিল্ডিংয়ের সময় জোরে জোরে কথা বলে সহ খেলোয়াড়দের উত্সাহর বাড়ানোর চেষ্টা করেন। শরীরী ভাষায় এই আগ্রাসন ফুটিয়ে তোলা দলকে তাতিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই।
জোহানেসবার্গের সেঞ্চুরিয়নেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দিনের খেলার শেষে অশ্বিনকে সামলাতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান কেশব মহারাজ, তখন স্লিপে দাঁড়িয়ে কোহলিকে বলতে শোনা গিয়েছে, পরের ক্যাচটা আমার হাতে আসবে।
কিন্তু এই কোহলির 'অন্যদিক'টি ক্যামেরা ধরতে পারেনি। কোহলির চরিত্রের সেই উজ্জ্বল দিকের পরিচয় পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার এইডেন মার্করাম।
প্রথম দিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম এগলারের সঙ্গে দলের ইনিংসে শক্ত ভিত গড়ে দেন। শেষপর্যন্ত ৯৪ রান করে অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় শতরানের অল্প দূরে থামতে হওয়ায় খুব হতাশ লাগছিল মার্করামকে। তখন তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন কোহলি। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ২৩ বছরের ওপেনারকে বলেন, খুব ভালো খেলেছ। দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে গিয়েছে। মার্করাম নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
কোহলির কাছ থেকে এ কথা শুনে আপ্লুত মার্করাম। তিনি বলেছেন, কোহলির এই কথা শুনে খুব ভালো লেগেছে। ও একজন দুরন্ত প্রতিযোগী।
মার্করাম বলেছেন, কোহলি ভালো খেলার প্রশংসা করতে জানেন। মাঠের বাইরে যাঁরা থাকেন, তাঁরা হয়ত তা দেখতে পান না। এভাবে প্রশংসা করাটা দারুণ মনোভাবের পরিচয় এবং এটা অনেক বেশি দামী।
আসলে কোহলির মনোভাব আক্রমণাত্মক। বিপক্ষকে ধরাশায়ী করার কোনও সুযোগই তিনি ছাড়তে চান না। অন্যদিকে, কোনও ভালো পারফরম্যান্স দেখলে তার প্রশংসা করতে কুন্ঠিত নন কোহলি।
কোহলি মার্করামের প্রতি যে সৌজন্য দেখালেন তা কিন্তু নতুন নয়। এর আগে ২০১৬-তে ইংল্যান্ডের ১৯ বছরের ওপেনার চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা কাটিয়েছিলেন কোহলি।