মুম্বই: পেশিবহুল, রানমেশিন যে বিরাট কোহলিকে দেখে আমরা অভ্যস্ত, সেই কোহলিই নাকি ছোটবেলায় ফাস্টফুড অন্তপ্রাণ ছিলেন। ভীষণ পছন্দ ছিল বাটার চিকেন, মাটন রোলের মত ফিটনেসের সর্বনাশ করা খাবারদাবার। কিন্তু ক্রিকেটকে আস্তে আস্তে জীবনের সর্বস্ব করে তোলা যুবক পুরোপুরি পাল্টে ফেলেছেন ফুড হ্যাবিট। জানিয়েছেন, তাংর ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা।


বিরাট একবার তাঁকে বলেছিলেন, অধিনায়ক হিসেবে তিনি যদি নিদর্শন না তৈরি করেন, তবে কে করবে। কিন্তু এখন গোটা ক্রিকেট বিশ্বের বিস্ময় যে ছেলে, তাঁর প্রস্তুতির দিনগুলো রাজকুমারের চেনা। বাটার চিকেন, মাটন রোল, সবরকম ফাস্ট ফুড খেতে তিনি ভীষণ ভালবাসতেন। ২০১৪-য় ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় তাঁর একটি ছবি দেখা যায়, ম্যাকডোনাল্ডের ব্যাগ খুলে ভেতরে কী আছে উঁকি মেরে দেখছেন। কিন্তু সে সব দিন পেরিয়ে এসেছেন তিনি।

এমনকী পুরনো কোচের বাড়ি এসেও আর প্যাকেটের ফলের রস পান করেন না বিরাট। হয় তাঁকে টাটকা ফলের রস দিতে হবে, নয়তো কিছু দিতেই হবে না। কার্বোহাইড্রেটকে নিজের খাবারের থালার ত্রিসীমানায় আসতে দেন না তিনি। এই রুটিনের একদিনও ব্যতিক্রম নেই।

এভাবে রুটিন মানতে গিয়ে রুটি খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন বিরাট। খান স্রেফ গ্রিলড আর সেদ্ধ খাবার। কফিতেও চিনি থাকে না এক ফোঁটা।

রাজকুমার শর্মা স্বীকার করে নিয়েছেন, পুরনো ছাত্রের চোখে পড়ার মত এই পরিবর্তনের পুরো কৃতিত্ব তাঁর নয়। হ্যাঁ, তিনি তাঁকে অবশ্যই শারীরিক কসরত করার কথা বলেছেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের উপকারিতার কথা বলেছেন। কিন্তু টিমের ট্রেনাররা তাঁকে শিখিয়েছেন শারীরিক সক্ষমতায় বিশ্বাস রাখতে। এর ফলে তাঁর খেলাতেও পরিবর্তন এসেছে চোখে পড়ার মত।

কোচ জানিয়েছেন, গত ২-৩ বছরে ফিটনেস আর খাদ্যাভ্যাসকে সম্পূর্ণ অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছেন বিরাট। বাড়িতেই তৈরি করেছেন জিম। প্রতিভা তাঁর বরাবরই ছিল। কিন্তু ফিটনেসের পিছনে তিনি যে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম করেছেন, তা তাঁর স্ট্যামিনা অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এখন চাইলেই এক রানের বদলে তিনি দু’রান নিতে পারেন, ইচ্ছেমত পারেন রান কুড়োতে। আর তিনি ক্লান্ত হন না, ফলে ম্যাচের সময় সময়ের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ শট নেওয়ার দরকারও পড়ে না। যখন যাই করুন, জিমে যাওয়ার সময় ঠিকই বার করে নেন তিনি।