বেঙ্গালুরু: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারত ৪-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচকে। গ্রুপ -এর ম্য়াচে প্রথমার্ধের শেষের দিকে হঠাৎ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতের ক্রোয়েট কোচ স্তিমাচ। একবার পাকিস্তানের থ্রো ইনের সুযোগ আসে প্রথমার্ধের শেষ দিকে। সেই সময় সাইড লাইন থেকে বল নিয়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের হেডকোচ ইগর স্তিমাচ। মুহূর্তের মধ্যে মাঠেই ঝামেলা শুরু হয়। পাকিস্তানের ফুটবলাররা ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন। এগিয়ে আসেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান, অনিরুদ্ধ থাপারা। ইগর স্তিমাচকে লাল কার্ডও দেখানো হয়। সন্দেশকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়। পাকিস্তানের নবিকেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়। 


 






নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইটারে ম্যাচ শেষে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন স্তিমাচ। সেখানেই তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ''ফুটবল পুরোটাই ভীষণ প্যাশনের ওপর। দেশের জন্য খেলার তাগিদই আলাদা পর্যায়ে থাকে। গতকাল আমার প্রতিক্রিয়ায় আপনি আমাকে ভালবাসতে পারেন, আমার নিন্দা করতে পারেন। কিন্তু নিজের দলের ছেলেদের সুরক্ষিত করার জন্য আমি প্রয়োজন পড়লে ফের এমনটা করব। কোনও নিয়মবিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত হলে ফের আওয়াজ তুলব।''


সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF Championship) দুরন্ত শুরু ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গেল ভারত। জোড়া গোলই করলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননের বিরুদ্ধেও সুনীলের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই ফর্মই ধরে রাখলেন ছেত্রী। এদিন খেলা শুরুর আগেই পাকিস্তানকে সমীহ করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। ক্রমতালিকায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে তার ওপর ভিত্তি করে যে ম্যাচের ফেভারিট বাছাই করাটা ভুল হবে তা জানিয়ে দেন তিনি। তবে ম্যাচের শুরুতেই ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করে দেন সুনীল ছেত্রী। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন ছেত্রী। খেলা শুরুর প্রথম ষোলো মিনিটের মাথায় জোড়া গোল হজম করে চাপ বেড়ে যায় পাকিস্তানের। দ্বিতীয়ার্ধে  ৭২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ভারত। সুনীল ছেত্রী আরও একটি গোল করেন পেনাল্টি থেকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একটি গোল পেয়ে যায় ভারত। ৮১ মিনিটের মাথায় উদান্ত সিংহ গোল করেন ভারতের হয়ে চতুর্থ গোলটি। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর আরও ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও তাতে কােনও গোলশোধ করতে পারেনি পাকিস্তানের ফুটবলাররা।