আগরতলা: তাঁর কেরিয়ারে যেমন এসেছে গৌরব, তেমনই এসেছে তিক্ততাও। ভারতের প্রথম জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন। আবার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিতও হয়েছেন।
তিনি দীপা কর্মকার। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে চতুর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু হাঁটুতে দুটি অস্ত্রোপচার। তারপর নির্বাসন। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বাঙালি জিমন্যাস্ট। তবে এখনই অবসরের কথা ভাবছেন না। জানিয়ে দিচ্ছেন নতুন শপথের কথাও। বলছেন, অলিম্পিক্সে পদক না জিতে অবসর নয়।
দীপা বলেছেন, 'আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট। চোট লাগতে পারে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই প্রোদুনোভা ভল্ট শুরু করেছিলাম। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর কাছে প্রস্তুতি শুরু করেছি। নিজের সেরাটা দিচ্ছি। যাতে অন্তত একটা অলিম্পিক্স পদক জিততে পারি, আর তারপর অবসর নিতে পারি।'
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন বাঙালি জিমন্যাস্ট (Gymnast) দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। ২০২৩-এর ১০ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি (ITA) জানিয়েছিল, দীপার শরীরে হাইজিনামিন নামের একটি নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। এই উপাদানটি ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দীপা কর্মকার প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট, যিনি ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে (Rio Olympics) চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি চোটের কারণে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
নির্বাসনের জেরে এই সময়কালের মধ্যে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি এই বঙ্গ তনয়া। অক্টোবরে বেলজিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেননি দীপা। ২০২৪ সালে প্যারিসে পরের অলিম্পিক্স। সেখানে যোগ্যতা অর্জন করাও বিরাট বড় পরীক্ষা দীপার সামনে। যদিও ইতিবাচক থাকছেন দীপা।
তাঁর কথায়, 'অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা খুব কঠিন। তবে কে বলতে পারে যদি একটা দেশকে অনুমতি দেওয়া হয়। আমি আশাবাদী। প্রস্তুতিতে নিজের সেরাটা দিচ্ছি।'
আরও পড়ুন: চোট পেয়ে সতীর্থের কাঁধে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন পাক জাতীয় দলের ক্রিকেটার ! সমালোচনার ঝড়
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।