নয়াদিল্লি: রিও অলিম্পিকে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পাওয়া সাক্ষী মালিকের দাবি, শক্তি প্রয়োগ নয়, উপযুক্ত টেকনিকের ফলেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। এই কুস্তিগীরের বক্তব্য, ‘কোচ বলেছেন, শক্তি প্রয়োগ করাই আমার সেরা অস্ত্র। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। আমার মনে হয় টেকনিকের কারণেই পদক জিতেছি।’

 

এবারের অলিম্পিকে সাক্ষীই দেশকে প্রথম পদক এনে দেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি একের পর এক সংবর্ধনা, পুরস্কার পাচ্ছেন। আজ এয়ার ইন্ডিয়া তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছে। বিনামূল্যে বিজনেস শ্রেণিতে ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন সাক্ষী। সেই অনুষ্ঠানের পরে এই কুস্তিগীর বলেছেন, ‘অন্য দেশের কুস্তিগীররা প্রথম তিন মিনিটে আগ্রাসন দেখান। কিন্তু ভারতীয়রা ৬ মিনিট ধরেই ভাল পারফরম্যান্স দেখানোর চেষ্টা করেন।’

 

রিও অলিম্পিকের প্রস্তুতির সময় এবং গেমস চলাকালীন প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছিল সাক্ষীকে। দেশে ফিরে বিপুল সংবর্ধনা পেয়ে তিনি অভিভূত। রোহতক বিশ্ববিদ্যালয়ের কুস্তি বিভাগের ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন সাক্ষী। তিনি শীঘ্রই বিয়ে করবেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই কুস্তিগীর আপাতত ২০১৮ এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমস নিয়েই ভাবতে চাইছেন। বিয়ের বিষয়টি পরিবারের লোকেদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। কুস্তি থেকে অবসর নেওয়ার পরেই রোহতক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন সাক্ষী।