সেই ম্যাচের ১১-তম ওভারে সচিনকে যখন আউট দেন গোল্ড, তখন ভারতের এই কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ২৩ রানে ব্যাটিং করছিলেন। তিনি রিভিউ নিয়ে ফের ব্যাটিং শুরু করার পর ৩৭ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। শেষপর্যন্ত ৮৫ রান করে তিনি আউট হন।
এ বিষয়ে ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোল্ড বলেছেন, ‘আমি যখন মোহালিতে আউট দিই, আমার মনে হয়েছিল আউটই ছিল। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, ফের যদি ওই ঘটনা দেখি, তাহলে আবার আউটই দেব। আমি আউট দেওয়ার পর সচিন গিয়ে (গৌতম) গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলে। তারপর প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিল। আমি তখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই ও ঘুরে দাঁড়িয়ে রিভিউ নেয়। বিলি বাউডেন আমাকে বলে, বলটি লেগস্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। ফলে আমার সিদ্ধান্ত বদল করা উচিত। ওর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ৯০ ফুটের পর্দায় দেখতে পাচ্ছিলাম, বলটি লেগস্টাম্পের এক ইঞ্চি বাইরে যাচ্ছিল। ফলে ওর পর্যালোচনার দরকার ছিল না। আমি শুধু দেখেছিলাম, আজমলের একটি দ্রুতগতির বল প্যাডে লেগে স্কোয়্যার লেগে যায়। আমি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। ও আউট ছিল। সচিন হোক বা অন্য কেউ, আমার কিছু যায়-আসে না।’
গোল্ডের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আজমল একাধিকবার দাবি করেছেন, রিভিউ নেওয়ার সময়ও তাঁর মনে হয়েছিল, সচিন আউট ছিলেন। কিন্তু ডিআরএস-এর ফলে সচিন বেঁচে যান।