আবু ধাবি: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করে মহমাদুল্লাহরা আটকে গেলেন মাত্র ১২৪/৯ স্কোরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডকে তুলতে হবে ১২৫ রান।


টস জিতে প্রথমে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমাদুল্লাহ। কিন্তু ইংরেজ বোলারদের সামনে কেউই সেভাবে রান পাননি। একমাত্র কিছুটা লড়াই করেন মুশফিকুর রহিম। ৩০ বলে ২৯ রান করে তিনিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার।


ইংরেজ বোলারদের মধ্যে ২৭ রানে তিন উইকেট টাইমাল মিলসের। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মঈন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এক উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস।


এদিকে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝামেলায় জড়ালেন হরভজন সিংহ ও মহম্মদ আমির। একে অন্যেকে আক্রমণ করতে থাকেন ক্রমাগত। সেখানে পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে তা তুলে নিয়ে আসেন ২ জনই। যা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।


ভারত-পাক ম্যাচের আবহে হরভজন সিংহ ও শোয়েব আখতারের মধ্যে রশিকতা চলছিল। ২ জনই তাঁদের দলকে সমর্থন করে নিজেদের বক্তব্য রাখছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে আবার ঢুকে পড়েন আমির। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের পর, ট্যুইটারে আমির জানতে চান, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর হরভজন সিং নিজের টেলিভিশন সেট ভেঙে ফেলেছেন কিনা? জবাবে ভাজ্জি আমিরকে ছক্কা মেরে তাঁর ম্যাচ জেতানোর একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ''এই ছক্কাটিতে বল গিয়ে আমিরের ঘরের টেলিভিশন সেট ভেঙে দিয়েছিল কি না।'' পুরনো ভারত-পাক একটি ম্যাচের ক্লিপিংস পোস্ট করেছেন ভাজ্জি। সেখানে আমিরকে একটি পেল্লাই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন টার্বুনেটর। 


জবাবে পাল্টা আমির আবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে টেস্টে একবার আফ্রিদি হরভজনকে চারটে ছক্কা হাঁকিয়েছিল। সেখানে আমির লেখেন, 'সব বোলারকেই বাউন্ডারি হজম করতে হয়। কিন্তু টেস্টে পরপর ৪টে বাউন্ডারি হজম। আফ্রিদি আসছে, পালাও হরভজন।' ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনার আবার লর্ডসে আমিরের ম্যাচ গড়াপেটার প্রসঙ্গ তুলে জানতে চান যে, টেস্ট ক্রিকেটে নো বল কীভাবে হয়? কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন আমির? সঙ্গে ভাজ্জির মন্তব্য, ক্রিকেটকে কলুষিত করা এবং তাঁদের সমর্থন করা মানুষদের লজ্জা হওয়া উচিত। কিন্তু সেখানেও না থেমে আমির আবার হরভজনের বোলিং অ্যাকশন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ও সেই অ্যাকশনকে অবৈধ জানান। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বাকবিতণ্ডা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই লড়াই যেন থামারই নয়। ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ যে কতটা উত্তেজনাপূর্ণ তা মাঠের বাইরের লড়াই থেকেও বোঝা যায়।