মুম্বই: নিজেদের শেষ ম্যাচে ডাচদের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। বিজয়রথ যেভাবে বিশ্বকাপে ছুটছিল, তাতে কিছুটা বাধা এসেছিল। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের সেই পুরনো মেজাজে পাওয়া গেল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এদিনের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে প্রোটিয়া বাহিনী। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩৯৯ রান তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। রেজা হেন্ড্রিক্স ও ডি কক নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। ফর্মে থাকা ডি কক এদিন মাত্র ৪ রানে ফিরলেও রেজা ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। ৭৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ভ্যান ডার ডুসেনও ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। এদিন তেম্বা বাভুমা না খেলায় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এইডেন মারক্রাম। তিনি ৪২ রান করে আউট হন। তবে ওয়াংখেড়েতে এরপরই শুরু হয় ক্লাসেনের শো। ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন গাস আটকিনসন। তিনি নিজের ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন মার্কো ইয়েনসেন। তিনি এদিন ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে বাঁহাতি প্রোটিয়া পেসার ৩টি বাউন্ডারি ও পেল্লাই ৬টি ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্য়ান্ডের বোলারদের মধ্যে রিস তোপলে ৩ উইকেট নিলেও নিজের ৮.৫ ওভারে ৮৮ রান খরচ করেন তিনি। গাস অ্যাটকিনসন ও আদিল রশিদ ২টো করে উইকেট নেন।
জয় শ্রীলঙ্কার
শুরুর ধাক্কা সামলে সম্মানজনক স্কোর খাঁড়া করেছিল নেদারল্যান্ডস (Netherlands)। শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৩ রান। এই ম্য়াচের আগে পর্যন্ত একটিও ম্যাচ এবারের বিশ্বকাপে জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাই ম্যাচটি ছিল লঙ্কা ব্রিগেডের কাছে ডু অর ডাই-এর সমান। অবশেষে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটে তারা হারিয়ে দিল ডাচদের। আগের ম্যাচে অঘটন ঘটালেও এই ম্যাচে অঘটন ঘটাতে পারলেন না অকারম্য়ান, এডওয়ার্ডসরা। ৪৮. ২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে পাথুম নিশানকা ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে কুশল পেরেরা এদিনও ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। নিশানকা ফিরে যাওয়ার পর সাদিরা সমরাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কা মিলে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করেন। সাদিরা ৭টি বাউন্ডরির সাহায্যে ৯১ রান করে অপরাজিত থেকে যান। অন্যদিকে আসালাঙ্কা ৪৪ রান করেন।নেদারল্যান্ডস বোলারদের মধ্যে সর্বােচ্চ ৩ উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত।