নয়াদিল্লি: ভারতীয় কুস্তি দুনিয়ায় তিনিই এখন শিরোনামে। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন সাত মহিলা কুস্তিগীর। যাদের পাশে রয়েছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাত, বজরং পুনিয়ার মতো দেশের সেরা কুস্তিগীররাও। কিন্তু এবার নিজে মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ সিংহ। কোনও মতেই পদত্যাগ করবেন না তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, ৯০ শতাংশ হরিয়ানার সব কুস্তিগীররা তাঁর পক্ষেই রয়েছেন। শুধু একজন ও তাঁর পরিবার যন্তর মন্তরে এখনও অবস্থান বিক্ষোভ করছেন।

  


কী বলছেন ব্রিজভূষণ?


সর্বভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি এফআইয়ার দায়ের করেছে। এই বিষয়ে ব্রিজভূষণ বলেন, ''পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তার মানে তো আমি ওদের অভিযোগ মেনে নিলাম। আমার মেয়াদ এমনিও শেষ হয়েই এসেছে।'' তিনি আরও বলেন, ''প্রতিদিন ওদের নতুন নতুন চাহিদা বাড়ছে। প্রথমে ওরা এফআইয়ার দায়ের করেছিল। এবার ওরা চাইছে যে আমাকে যাতে জেলে পাঠানো হয় আর আমি যাতে সব পদ থেকে সরে দাঁড়াই। আমি একজন সাংসদ। আমার বিধানসভার মানুষের জন্য আমি সাংসদ। ভিনেশ ফোগাতের জন্য নয় শুধু। কেন অন্যান্য রাজ্যের কুস্তিগীররাও এই প্রতিবাদে এগিয়ে আসছে না? হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের কেউ তো অভিযোগ করছে না।''


উল্লেখ্য়, এর আগে, এর আগে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও এফআইআর না করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি মহিলা পুলিশ কমিশন।


কমিশনের তরফে বন্দনা সিংহ জানিয়েছেন, ''পাঁচদিন হয়ে গেল কিন্তু দিল্লি পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। পকসোর কেসও আছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মেয়েদের পরিবারের কাছে ক্রমাগত খুনের হুমকি আসছে। পরিবারের মানুষের মনে হচ্ছে যে দিল্লি পুলিশের অফিসাররা সব নাম ফাঁস করে দেওয়ায় তাঁদের বিপদ আরও বাড়ছে। দেশের রাজধানীতে প্রতিদিন ৬ জন করে করে নারী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন। এই পরিস্থিতিতে এখানকার পুলিশ পুরো গুন্ডামিতে নেমে এসেছে।''